Kingdom: Animalia
Phylum: Chordata
Class: Actinopterygii
Order: Osteoglossiformes
Family: Notopteridae
Genus: Notopterus
Lacépède, 1800
Species: Notopterus notopterus
(Pallas, 1769)

সমনাম
Notopterus bontianus Valenciennes, 1848
Notopterus kapirat Lacepède, 1800
Notopterus osmani Rahimullah & Das, 1991
Notopterus pallasii Valenciennes, 1848

চিতল
চিতালা গণের প্রজাতি বিশেষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম- Notopterus notopterus, (Hamilton, 1822
ইংরেজি নাম :
Humped Featherback, Clown knife fish, chitala
সমনাম : ফলুই।

 

Notopteridae গোত্রের মাছ বিশেষ। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কমবেশি এই মাছ পাওয়া যায়। একসময় বাংলাদেশের খাল-বিল, নদী--নালায় এই মাছ প্রচুর পাওয়া যেতো। বর্তমানে বাংলাদেশে এই মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
 

এই মাছগুলো দেখতে অনেকটা চিতলের মতো। তাই অনেক সময় চিতল এবং ফলিকে আলাদা করে চেনা মুশকিল হয়ে পড়ে। এদের দেহ লম্বা উভয় দিকে চাপা। এদের দেহ প্রসারিত এবং চাপা।  লেজ লম্বা এবং ক্রমান্বয়ে চাপা। দেহের রঙ প্রধানত রুপালি। তবে পিঠের দিকের রঙ বাদামি।

এর দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬০ সে.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রস্থের দেহের মধ্যভাগ প্রসারিত।  পিঠের অগ্রভাগ দৃঢ় কুঁজোযুক্ত। মুখে কোনো স্পর্শী নেই।। মাথা চাপা এবং প্রাক্-অক্ষিকোটর মসৃণ। মুখ বৃহৎ, থুঁতনি অধিক সুস্পষ্ট, ম্যাক্সিলা মোটামুটি চোখের পশ্চাৎ কিনারার পেছন পর্যন্ত প্রসারিত হয়। প্রি-ম্যাক্সিলায় অবস্থিত দাঁতগুলি অপেক্ষাকৃত বড়, কিন্তু ম্যাক্সিলার দাঁতগুলি সূক্ষ্ম। নিম্ন চোয়ালে দাঁতগুলি মোটামুটিভাবে ক্ষুদ্রতর, প্রসারিত এবং পার্শ্বীয়ভাবে বাঁকা জিহ্বার শীর্ষে খুব বাঁকা আংটার মতো এক জোড়া দাঁত থাকে। কানকো লম্বিকা (Flap) বৃহৎ ও পর্দাযুক্ত।

এর পৃষ্ট ও পুচছ পাখনা ছোট এবং পায়ু পাখনা লম্বাটে।
 পায়ু পাখনার সম্মুখভাগে উদর বরাবর খাঁজকাটা। অসংখ্যা সূক্ষ্ম সাইক্লয়েড শে দেহ ঢাকা থাকে আঁইশ অপেক্ষাকৃত ।


এরা মোটামুটি জলাশয়ের তলদেশে বসবাস করে। এরা মৎস্যভূক এবং শিকারী মাছ। মাছ ছাড়াও এরা পানির পোকামাকড়, শামুক, শৈবাল, কাদা, বালি ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে।

এদের প্রজনন কাল বর্ষা। জলাশয়ের তলদেশের মাটিতে গর্ত করে বাসা তৈরি করে ডিম পাড়ে। এরা আগাছাযুক্ত অংশে বাসা তৈরি করতে পছন্দ করে। বাসার আবর্জনার উপর ডিম ছাড়ে। ডিমগুলো আঠালো হওয়ায়, আবর্জনার সাথে ডিমগুলো লেপ্টে থাকে। ডিমের রঙ হলদেটে। পুর্ষ মাছের বীর্য দ্বারা এই ডিমগুলো নিষিক্ত হওয়া থেকে শুরু করে বাচ্চাগুলো বড় হয়ে উঠা না পর্যন্ত, স্ত্রী-পুরুষ মাছ পাহাড়া দেয়। এই সময় মাছগুলো খুব হিংস্র আচরণ করে।


সূত্র