মৎস
ইংরেজি : fish
বাংলায় সাধারণভাবে মাছ শব্দ ব্যবহার করা হয়। বাঙালি প্রিয় আমিষ জাতীয় খাদ্য।

মৎস মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি শ্রেণি। এই শ্রেণির সকল প্রাণী পানিতে বসবাস করে। জলাশয়ের তলদেশ খনন করতে পারে এমন কোন বিশেষ প্রত্যঙ্গ (হাত বা পায়ের মতো) নেই। অধিকাংশ মাছের রক্ত শীতল। এরা ফুলকার সাহায্যে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে এবং দেহ আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে। হাঙর বা টুনা মাছের মতো সার্বক্ষণিক সাঁতারু মাছের রক্ত উষ্ণ হয়।

দৈহিক গঠন :
মাছের দেহকাণ্ডকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই ভাগ দুটি হলো মাথা ও দেহকাণ্ড।

দৈহিক গঠনের বিচারে মাছকে প্রাথমিকভাবে ৫টি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। এর ভিতরে প্রতিটি শ্রেণি আবার দুটি করে উপশ্রেণিতে বিভক্ত। বাকি দুটি শ্রেণির কোনো উপবিভাগ নেই। নিচের এর শ্রেণি এবং উপশ্রেণিগুলোর তালিকা দেওয়া হলো।

শ্রেণি : অগ্নথা (Agnatha) চোয়ালবিহীন মাছ
   উপশ্রেণি : সাইক্লোস্টোমাটা (Cyclostomata)
                অস্ট্রাকোডেরমি (
Ostracodermi )
শ্রেণি : কণ্ড্রিক্‌থিস্ (Chondrichthyes)। চোয়ালযুক্ত তরুণাস্থিযুক্ত মাছ।
  উপশ্রেণি : এলাস্মোব্রাঙ্কি (Elasmobranchii)।
                      হোলোসেফালি (Holocephali )
শ্রেণি : প্লাকোডের্মি (Placodermi)। বর্মযুক্ত মাছ
শ্রেণি : এ্যাকান্থোডি (Acanthodii)। কণ্টকযুক্ত হাঙর জাতীয় মাছ।
শ্রেণি : অস্টিক্‌থিস্ (Osteichthyes)। অস্থিযুক্ত মাছ।
  উপশ্রেণি : এক্টিনোপ্টেরাইগি (Actinopterygii)।
                      সার্কোপ্টেরাইগি (Sarcopterygii)।

তবে উপরের এই শ্রেণিবিভাজনকে অনেক বিজ্ঞানী যথাযথ মনে করেন না। সকল প্রকার মাছকে যথাযথভাবে শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে শ্রেণিগত সংখ্যাকে কেউ কেউ বর্ধিত তালিকায় প্রকাশ করেছেন।

মাছের খাদ্য তালিকায় নানাবিধ উপকরণ রয়েছে। প্রজাতিভেদে এই খাদ্য-উপকরণ একরকম নয়। এরা জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী, মাটি, স্থলজ প্রাণী আহার করে। অজস্র মাছ অন্যের খাদ্যে পরিণত হয়। বড় মাছগুলো নির্বিবাদে ছোটো মাছ আহার করে। ডাঙার স্তন্যপায়ী, আকাশচারী পক্ষী, সকল প্রকার সরীসৃপ মাছ খাদ্য হিসাবে গ্রহণ। মাছ মানুষের খাদ্য তালিকায় অন্যতম আমিষ হিসাবে বিবেচিত হয়।

 [মাছের তালিকা]