Kingdom:
Animalia |
পাইগোসেন্ট্রাস
ইংরেজি :
Pygocentrus
Characidae
গোত্রের একটি গণ। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে
. P. Müller
এবং Troschel-এর
নামকরণ করেন। এই গণের অধীনে চারটি প্রজাতি আছে। এই প্রজাতিগুলো সাধারণভাবে পিরানহা
নামে অভিহিত করা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন, সান ফ্রান্সিসকো এবং ওরিনোকো নদীতে এই
গণের পিরানহা পাওয়া যায়।
এই প্রজাতিগুলো হলো—
Pygocentrus cariba (Humboldt, 1821)
(black spot piranha)
Pygocentrus nattereri Kner, 1858 (red piranha, red-bellied piranha)
Pygocentrus palometa Valenciennes, 1850
Pygocentrus piraya (G. Cuvier, 1819) (San Francisco piranha)
Pygocentrus
cariba এদের দেহের
দৈর্ঘ্য ২৪-২৮ সেন্টিমিটার। এরা চিংড়ি, জলজ মাছ, জলজ পতঙ্গ আহার করে থাকে।
এরা অত্যন্ত আক্রমনাত্মক। এরা দ্রুত সাঁতার কাটতে পারে এবং অত্যন্ত দ্রুত
জীবন্ত প্রাণীকে আক্রমণ করে। ফলে এই পিরানহাযুক্ত যে কোনো জলাশয়, ডাঙার
প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত বিপদ ডেকে আনতে পারে। দলবদ্ধভাবে এরা আক্রমণ করে
এবং আক্রান্ত প্রাণীর দেহ থেকে তীক্ষ্ণ দাঁতের দ্বারা দ্রুত মাংশ তুলে নেয়।
|
|
Pygocentrus
nattereri Pristobrycon গণের একটি প্রজাতি। ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে Kner এর নামকরণ করেন। এই প্রজাতিটিকে ভেনিজুয়েলার আমাজান নদীর অববাহিকায় এবং ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নদীতে, প্যারাগুয়ের নদীতে এই মাছ দেখা যায়। তবে দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় দেশেই এই মাছ কমবেশি দেখা যায়।
এদের গায়ের রঙ কালচে
ধূসর। এদের পেটের দিকটা লালচে। এই কারণে একে অনেক সময় লাল-পেটা পিরানহা বলা
হয়। মিষ্টি পানির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাছ হিসাবে এই পিরানহাকে বিবেচনা করা হয়। মূলত এই পিরানহার কারণেই অন্যান্য পিরানহারদের রাক্ষুসে মাছ হিসাবে দুর্নাম রটেছে। এরা নদীর বড় বড় মাছ, জলজ পতঙ্গ আহার করে। সাধারণ বড় মৃত বা আহত বড় প্রাণী আহার করে। তবে ক্ষুধার্ত অবস্থায় জলে নামা যেকোনো বড় প্রাণীদের আক্রমণ করে। এরা দ্রুত সাঁতার কাটতে পারে এবং অত্যন্ত দ্রুত জীবন্তপ্রাণীকে আক্রমণ করে। ফলে এই পিরানহাযুক্ত যে কোনো জলাশয়, ডাঙার প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত বিপদ ডেকে আনতে পারে। দলবদ্ধভাবে এরা আক্রমণ করে এবং আক্রান্ত প্রাণীর দেহ থেকে তীক্ষ্ণ দাঁতের দ্বারা দ্রুত মাংশ তুলে নেয়। এপ্রিল মে
মাসের দিকে (বর্ষাকালে) পুরুষ পিরানহা পাথর বা ও লতাপাতা দিয়ে বাসা তৈরি
করে স্ত্রী পিরানহার জন্য অপেক্ষা করে।
এই বাসাতে স্ত্রী-পিরানহা প্রায় ৬০০ ডিম পারে। এরপর পুরুষ পিরানহা এই
ডিমগুলোর উপর শুক্রাণু ত্যাগ করে নিষেক ঘটায়। ডিম থেকে বাচ্চা বের হওয়ার পর
স্ত্রী-পুরুষ উভয় পিরানহা বাচ্চাদের পাহারা দিয়ে রাখে। |
|
Pygocentrus
palometa Pristobrycon গণের একটি প্রজাতি। ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে Valenciennes এর নামকরণ করেন। এই প্রজাতিটিকে ভেনিজুয়েলার ওরেইনোকো নদীর অববাহিকায় এই পিরানহা দেখা যায়।
এদের গায়ের রঙ কালচে
ধূসর। এদের পেটের দিকটা লালচে।
এদের মাথা বেশ বড় এবং প্রশস্থ।
মুখের উভয় চোয়ালে এক সারিতে তীক্ষ্ণ দাঁত আছে। |
|
Pygocentrus
piraya Pristobrycon গণের একটি প্রজাতি। ১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দে G. Cuvier এর নামকরণ করেন। এই পিরানহাগুলোকে অনেক সময় পিরায়য়া পিরানহা বা সানফ্রান্সিকো পিরানহা বলা হয়। এরা ব্রাজিলের সাও ফ্রান্সিসকো নদীর অববাহিকায় বসবাস করে। এই প্রজাতিটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এর পেটের দিকের কমলা ও হলুদ রঙের মিশ্রণের জন্য এই পিরানহাকে অত্যন্ত চমৎকার দেখায়। এই পিরানহা উভ-ভোজী। ক্ষুধার্ত অবস্থায় এরা যে কোনো শিকারকে দ্রুত আক্রমণ করে। এদের দলবদ্ধ আক্রমণে অনেক বড় প্রাণী প্রাণ হারায় এদের খাদ্যে পরিণত হয়। ব্রাজিলে এই পিরানাহাকে মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর মাছ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এরা ছোটো ছোটো মাছ, পতঙ্গ, জলজ উদ্ভিদের ফুল, কাণ্ড ইত্যাদি আহার করে। |
সূত্র :
http://en.wikipedia.org/wiki/Piranha
http://www.piranhawarehouse.co.uk/pirayaprofile.html