Kingdom: Animalia সমনাম
Aspidobagrus Bleeker, 1862 |
টেংরা
সমনাম:
টেংরা,
ট্যাংরা
(আভিধানিক)
বৈজ্ঞানিক নাম :
Mystus
tengra
Bagridae
গোত্রের মাংসাশী মাছ। ভারত উপমহাদেশ
এদের আদি বাসস্থান। বাংলাদেশের খাল-বিলে এই মাছ প্রচুর দেখা যায়। বাংলাদেশে নানা
রকমের টেংরা মাছ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ছাড়া― ভারতের আসাম, পশ্চিম বাংলা, উত্তর ভারতে এই মাছ পাওয়া
যায়।
এদের
দেহ আঁশহীন। শরীর লম্বাটে। লম্বায় প্রায়
৬-৭ সেন্টিমিটার হয়। পিঠের রঙ ঈষৎ বাদামী। কিন্তু নিচের দিকের রঙ ফ্যাকাশে হলুদ।
কাঁধের কাছে কালো দাগ আছে। পার্শ্ব রেখার উপরে এবং নিচে দুটি করে লম্বালম্বি কালো
দাগ আছে।
মাথা অপেক্ষাকৃত বড়। মাথার উপরিভাগ অসমান। মধ্যস্থিত খাঁজ অক্সিপেটাল পর্যন্ত
পৌঁছায় না। মুখে চার জোড়া স্পর্শী আছে। মাক্সিলারি স্পর্শী পায়ু পাখনার মাঝখান
পর্যন্ত বিস্তৃত। কোনো কোনো টেংরার এই স্পর্শী পায়ু পাখনা ছাড়িয়ে যায়। দাঁত ভিলাই
আকৃতির, উপরের চোয়াল সামান্য বড়। চোখ মুখের কোণের উপরে অবস্থিত। নাসারন্ধ্র দুইটি।
তুণ্ডু ভোঁতা।
কানকোর পাশে একটি এবং পিঠে একটি কাঁটা আছে। পিঠের কাঁটার পিছনের দিক করাতের মতো। বক্ষপাখনার কাঁটা বেশ শক্ত। এর ভিতরের দিকে করাতের মতো ১৫-১৬টি দাঁত আছে। শ্রোণী পাখনা পায়ুর সামান্য পিছনে পৌঁছে। এর পুচ্ছ পাখনা দ্বিবিভক্ত। পুচ্ছ পাখনার উপরের অংশ অপেক্ষাকৃত বড়
টেংরা মূলত মাংসাশী মাছ। এরা জলাশয়ের তলদেশের অন্যান্য মাছের পোনা, জলজ কীট, প্রোটোজোয়া, শামুক বা ঝিনুকের ভগ্নাংশ আহার করে। এছাড়া এরা শৈবাল ও নানা ধরনের জলজ উদ্ভিদ আহার করে।
গ্রীষ্মকালে এরা ডিম ছাড়ে। বর্ষার মধ্যভাগে এদের পোনা মোটামুটি বড় হয়ে যায়।
বাংলাদেশের মানুষ এই মাছ সাধারণত ঝোলযুক্ত ক'রে রান্না করে। এই মাছ আমিষ, চর্বি, ক্যালসিয়াম এবং লৌহ সমৃদ্ধ। তবে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণে এই মাছ অত্যন্ত কার্যকরী।
সূত্র :
http://en.bdfish.org/2011/05/tengara-mystus-mystus-tengara-hamilton-1822/