ফন্ট-ডি-গুম গুহাচিত্র
Font de Gaume
দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের ফন্ট-ডি-গুম নামক গুহায় আঁকা চিত্রকরম। ধারণা করা হয়, এই গুহাচিত্রগুলো অঙ্কিত হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৪,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই চিত্রটি আঁকা হয়েছিল।
১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের আগে এই গুহাচিত্র সম্পর্কে কিছু জানা যায় নি। এই সময়ে ফরাসি
গবেষক ডেনিস পেরোনি প্রথম পেরিগোর্ড প্রদেশে কিছু গুহাচিত্রের নমুনা খুঁজে পান।
১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে হেনরি ব্রেউইল এই গুহায় অনুসন্ধান শুরু করেন। তিনি ১৯৫৮ থেকে
১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এই গুহা খনন করেন গবেষকরা বেশকিছু গুহাচিত্রসহ
প্রাগৈতিহসিক বহু নমুনা খুঁজে পান। এর ভিতরে এই গুহার ১৩০ মিটার দীর্ঘ একটি সরু
গলিতে অঙ্কিত এবং খোদিত চিত্রের প্রায় ২৫০টি নমুনা গবেষকদের নজরে আসে।
এই গুহায় পাওয়া গেছে প্রায় ২০০টি বর্ণিল চিত্র। এর ভিতরে রয়েছে ৮২টি বাইসন, ৪৫টি
ঘোড়া, ২৯টি ম্যামোথ, ১৮টি রেইনডিয়ার ও সেরভিডস, ৮টি বোভিড, ৪টি আইবেক্স, ২টি লোমশ
গণ্ডার, ১টি ফেলিন ও ১টি নেকড়ের ছবি। ছবিগুলিতে ত্রিমাত্রিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা
হয়েছে। খোদিত ছবিগুলোর সীমারেখাকে কালো রঙ ব্যবহার করে রিলিফের আদল আনার চেষ্টা করা
হয়েছে। এসব ছবির পাশাপাশি রয়েছে ৪টি হাতের ছাপ। প্রতীকী চিত্র হিসেব ৪টি টেক্টিফর্ম,
১টি টিম্বাকার ও ২টি চতুর্ভুজ চিত্র।
গুহার
অবস্থান দেখে মনে হয়, প্রস্তরযুগে এই গুহা অন্ধকার ছিল। তাই ধারণা করা হয়, শিল্পীরা
এই ছবিগুলো এঁকেছিলেন মশাল জ্বালি্য়ে। গুহার দেয়ালের উভয় পাশে ছবি আঁকা হয়েছিল।
গুহাচিত্রের অধিকাংশ বাইসন আঁকা হয়েছিল লাল রঙ দিয়ে।
আর এর প্রান্তীয় অংশ কালো রঙের রেখা দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র: