ক্যাপ্টেন গোরাহামের আবিষ্কৃত দক্ষিণ-পশ্চিম জিব্রাল্টারে প্রাপ্ত গুহাচিত্র বিশেষ। ভূমধ্যসাগরের তীর থেকে প্রায়
১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই গুহায়
নিয়ানডার্থালরা প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল। কোনো কোনো
বিজ্ঞানী মনে করেন যে, এই গুহায় ক্রো-ম্যাগনানরা বসবাস করতো।
গুহামুখে ছাদের উচ্চতা প্রায় ৩৫ মিটার।গুহামুখ থেকে
ভিতরের দিকে ক্রমে ক্রমে সরু হয়ে, পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে গুহাটি সরল নয়। ভিতরে দিকে
প্রায় ৯০ ডিগ্রি বাঁক নিয়ে কৌণিক রূপ লাভ করেছে। তুষার যুগে
(প্রায় ৫৫০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) সাগরের জল অনেক নিচে ছিল।
তখন সাগরসৈকত থেকে গুহামুখের দূরত্ব ছিল প্রায় ৫ কিলোমিটার।
খ্রিষ্টপূর্ব
১৫০০০ অব্দের দিকে এই অঞ্চল থকে বরফ অপসারিত হলে, পানির উচ্চতা
প্রায় সাগর উচ্চতায় পৌঁছায়। এই সময় সাগরের জল গুহা মুখ
পর্যন্ত পৌঁছায়।
এই গুহা থেকে পাওয়া গেছে প্রাচীন মাটির পাত্র
এবং পাথরের অস্ত্রশস্ত্র। এই গুহায় কয়েক স্তর পর্যন্ত খনন করে
বিভিন্ন সময়ের এ সকল সামগ্রী পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত যে সকল সামগ্রী পাওয়া গেছে,
তার ভিতরে সর্বপ্রাচীন নমুনার বয়স ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এ সকল
পাথুরে অস্ত্রের সাথের ইউরেশিয়া প্রবেশকারী নিয়ানডার্থালদের তৈরি বলে অধিকাংশ
বিজ্ঞানী মত দিয়েছেন।