আমলকি
আমলকী গাছ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
পাম জাতীয় বৃক্ষ
|
ফলদবৃক্ষ
|
আবৃতবীজী বৃক্ষ
|
বৃক্ষ |
কাষ্ঠময় উদ্ভিদ
|
ভাস্কুলার উদ্ভিদ
|
উদ্ভিদ |
জীবসত্তা |
জীবন্তবস্তু |
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক
সত্তা
|
সত্তা
|}
আমলকী ফল
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
ভক্ষণযোগ্য ফল
|
সবুজ-পণ্য
|
কঠিন খাদ্য |
কঠিন
বস্তু
|
বস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}~ {|
ফল
|
প্রজনন অঙ্গ-সংস্থান
|
উদ্ভিদাঙ্গ
|
উদ্ভিদাংশ |
প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু |
সমগ্র |
দৈহিক
লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
অন্যান্য নাম :
অকরা,
অমৃতা, অমৃতফলা,
আমলকী, আমলা, জাতীফলা, ধাত্রীকা,
ধাত্রীফলা,
ধাত্রেয়ী, বয়ঃস্থা,
বৃষ্যা, বৃন্তফলা, রোচনী, শান্তা, শিবা, শীতা, শ্রীফলা।
ইংরেজি
Myrobalan।
Kingdom (রাজ্য):
Plantae Division (বিভাগ) : Magnoliophyta Class (শ্রেণী) : Magnoliopsida Order (বর্গ) : Malpighiales Family (গোত্র) : Phyllanthaceae Genus (গণ) : Phyllanthus Species: (প্রজাতি) : emblica |
Phyllanthus
গণের
একটি পামজাতীয় ফলদ, পাতাঝরা বৃক্ষ। এটি বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন
অঞ্চলে প্রচুর জন্মে। ভারতের বাইরে ভিয়েৎনাম, চীনসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে
জন্মে।
এই গাছগুলি উচ্চতায় ৮-১০ মিটার হয়ে থাকে। একটি লম্বা
পত্রদণ্ডের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে পাতা সাজানো থাকে। পাতার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭-১০
সেন্টিমিটার।
এই গাছটি
পাতাঝরা। গাছে ছোট ছোট ফুল হলুদাভ ফুল ধরে।
এপ্রিল
মে
মাসে
ফুল ধরে জেবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ফল ধরে।
এর
ফলগুলি
শাখার সাথে যুক্ত থাকে। ফলের আকার ছোট এবং প্রায় গোল।
এই ফল
অত্যন্ত কটু। কিন্তু ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই ফলটি ঔষধরূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ফলের প্রতি ১০০ গ্রামে ৮১ গ্রাম পানি, ০.৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ গ্রাম শ্বেতসার, ০.১
গ্রাম স্নেহ, ০.৭ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৩.৫ গ্রাম আঁশ, ০.০৫ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.০২
গ্রাম ফসফরাস, ১.৫ গ্রাম আয়রন, ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি এবং ১৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন
সি আছে। প্রতি ১০০ গ্রামে ৫৯ কিলোক্যালরি তাপশক্তি বিদ্যমান। এই গাছের ফল এবং অপর
দুটি ফল হরিতকী, বহেরা নিয়ে 'ত্রিফলা' নামক ফলসমষ্টি গঠিত হয়।
এর বাকল কয়েক স্তরে বিন্যস্ত থাকে। কাঠের রঙ ঈষৎ লাল বা লালচে বাদামী।
চামড়া
ট্যান করতে এই গাছের পাতা ও বাকল ব্যবহার করা হয়। এর পাতা ও ফলে ২২% ও বাকলে ২৮%
ট্যানিন আছে। শুকনো ফলের রঙ থেকে চুলের কলপ তৈরি করা যায়।
আয়ুর্বেদী মতে এই ফল ঔষধ হিসাবে ব্যাপক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। কাঁচা অবস্থায় এর ফল
খেয়ে ভিটামিন-সি এর অভাব পূরণ করা যায়। তবে শুকনো ফল দীর্ঘদিন খেলে প্লীহা এবং
মুত্রাশয়ে রোগ জন্ম। হাকিমি মতে- এর ফল উদর, যকৃত, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুমণ্ডলের বল
বর্ধন করে। অর্শ, দন্তরোগ, চর্মরোগে বিশেষ উপকার করে।
সূত্র :
ভারতীয় বনৌষধি। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০২।
ঔষধি উদ্ভিদ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার। এম.এ হাকিম। বাংলাদেশ নিম
ফাউন্ডেশন। ২০০৫।
বাংলা বিশ্বকোষ (প্রথম খণ্ড)। নওরোজ কিতাবিস্তান। ডিসেম্বর ১৯৭২।