অনন্তমূল
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ | ভাস্কুলার উদ্ভিদ | উদ্ভিদ | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

Kingdom (রাজ্য): Plantae
Division (
বিভাগ) : Magnoliophyta
Class (
শ্রেণী) : Magnoliopsida
Order (
বর্গ) : Gentianales
Family (
গোত্র) : Apocynaceae
Subfamily
(উপগোত্র) : Asclepiadoideae
Genus (
গণ) : Hemidesmus
Species
(প্রজাতি)  : indicus

অনন্তমূলকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ অনুসারে এর সমার্থক নামগুলি হলো
১. কৃষ্ণ অনন্তমূল। এর নাম তালিকা : গোপবধূ, গোপী, শারিবা, শ্যামা।
২. শ্বত অনন্তমূল। এর নাম তালিকা : অস্ফোতা, কৃশোদরী, গোপকন্যা, গোপবল্লী, গোপা, চন্দনা, লতা, শ্যামা, স্ফোতা।

বৈজ্ঞানিক নাম :  Hemidesmus indicus
ইংরেজ নাম : Indian Sarsaparilla


Asclepiadaceae গোত্রের ভারতবর্ষের গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ তবে মালোয়েশিয়া মায়ানমারে এই গাছ জন্মে বাংলাদেশের ঢাকা ভাওয়াল ও ময়মনসিংহে এই গাছ প্রচুর দেখা যায়।

এটি সরু লতান বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর শিকড় কাষ্ঠাল এবং সুগন্ধী। এর শাখা সরল দণ্ডাকার এবং শাখাতে বিপরীতমুখী পাতা জোড়া অবস্থায় থাকে। পাতাগুলি লোমশ হয়ে থাকে। পাতার মধ্যশিরা বরাবর সাদা দাগ দেখা যায়। এই লতার স্বাদ তিক্ত। এর ফুল বাইরের দিক সবুজ এবং ভিতরের দিক ঘন নীল। ফুলের পাপড়ির আকার লম্বা ও বর্শাকৃত। এতে প্রচুর পরিমাণ কুমারিন নামক যৌগ-পদার্থ রয়েছে। এই কারণে এই লতায় কুমারিনের সুগন্ধ পাওয়া যায়।

য়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে এই লতার শিকড় রক্ত পরিষ্কারক, মুত্রবর্ধক ও ক্ষুধাবর্ধক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বাত নিরাময়, ফোড়া ফাটানো, পেটের অসুখে এটি ওষুধ হিসাবে বা অন্যান্য অষুধের অনুপান হিসাবে ব্যবহারের বিধান ছে। কুষ্ঠ ও সিফিলিসেও এই লতার ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়।

সূত্র