অশ্বত্থ 
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
| 
বৃক্ষ |
কাষ্ঠময় উদ্ভিদ
| 
ভাস্কুলার উদ্ভিদ 
| 
উদ্ভিদ |
জীবসত্তা |
জীবন্তবস্তু |
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | 
দৈহিক 
সত্তা
| 
সত্তা
|}
| 
    বৈজ্ঞানিক পরিচিত:  | 
সমার্থক নাম 
: অশথ, অশ্বত্থ।
 
ইংরেজি : pipal, 
pipal tree, pipul, peepul, sacred fig, bo tree।
বৈজ্ঞানিক 
নাম 
Ficus religiosa
। 
 
ভারত-উপমহাদেশের অত্যন্ত 
সুপরিচিত বৃক্ষ 
জাতীয় উদ্ভিদ 
বিশেষ।
যা অল্পকাল স্থায়ী নয়, এই অর্থে অশ্বত্থ বৃক্ষ।
ছায়াদানকারী বৃক্ষ হিসাবে এই গাছটি পল্লীবাংলায় অত্যন্ত 
আদৃত।
সুবিশাল 
এই বৃক্ষ প্রায় কয়েকশত বৎসর জীবিত থাকে। 
এই গাছের পাতা অনেকটা পান পাতার মতো তবে এর নিচের বর্ধিত সরু অংশ
 দোদুল্যমান 
অবস্থায় দেখা যায়। 
পাতাটি 
নমনীয় বৃন্তের সাথে সংযুক্ত থাকে।
 
নিচের বর্ধিত সরু অংশ
 দোদুল্যমান 
অবস্থায় দেখা যায়। 
পাতাটি 
নমনীয় বৃন্তের সাথে সংযুক্ত থাকে। 
 পাতার উপশিরাগুলি সমান্তরালভাবে বিস্তৃত থাকে। পাতার বোটা ছিঁড়লে সাদা রঙের 
আঠালো 
কষ বের হয়। প্রতি শীতকালের শেষে এর পাতাগুলি ঝরে পড়ে এবং বসন্তকালে নূতন পাতা গজায়।
পাতার উপশিরাগুলি সমান্তরালভাবে বিস্তৃত থাকে। পাতার বোটা ছিঁড়লে সাদা রঙের 
আঠালো 
কষ বের হয়। প্রতি শীতকালের শেষে এর পাতাগুলি ঝরে পড়ে এবং বসন্তকালে নূতন পাতা গজায়।
ধর্মীয় পবিত্র গাছ
হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের 
কাছে এই গাছ অত্যন্ত পবিত্র। বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বীদের 
মতে― গয়ায় এই জাতীয় গাছের নিচে ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায় 
গৌতম 
বুদ্ধ 
বুদ্ধত্ব লাভ 
করেছিলেন। সেই কারণে এর অন্য নাম বোধি বৃক্ষ।
হিন্দু ধর্মমতে― 
এই বৃক্ষ বিষ্ণুরূপী।
এই গাছের উৎপত্তি নিয়ে হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে দুটি গল্প প্রচলিত আছে।
গল্প দুটি হলো―
১. একদিন মহাদেব ও পার্বতী (দ্র: দুর্গা) নির্জনে ক্রীড়া-কৌতুকে মত্ত ছিলেন। এমন সময় দেবতাদের আদেশে সেখানে অগ্নি প্রবেশ করলে, পার্বতী রাগান্বিতা হয়ে দেবতাদেরকে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে― তোমরা বৃক্ষযোনি প্রাপ্ত হও। সে কারণে বিষ্ণু অশ্বত্থ বৃক্ষ হয়ে জন্মেছিলেন।
২. ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে অত্যাচারী হয়ে উঠেন। ইনি ইন্দ্রকে স্বর্গচ্যুত করলে, ইন্দ্রসহ অন্যান্য দেবতারা মহাদেবের কাছে আশ্রয় নেন। এরপর মহাদেব জলন্ধরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন। জলন্ধরের স্ত্রী বৃন্দার (কালনেমির কন্যা) স্বামীর প্রাণরক্ষার জন্য বিষ্ণুর পূজা আরম্ভ করেন। বিষ্ণু জলন্ধরের রূপ ধরে বৃন্দার কাছে উপস্থিত হন। স্বামী অক্ষত দেহে যুদ্ধক্ষেত্র হতে ফিরে এসেছেন ভেবে বৃন্দা পূজা অসমাপ্ত রেখেই পূজাস্থান ত্যাগ করেন। ফলে জলন্ধরের মৃত্যু হয়। বৃন্দা বিষ্ণুর এই কপট ব্যবহারে তাঁকে শাপ দিতে অগ্রসর হলে, বিষ্ণু তাঁকে সহমৃতা হওয়ার পরামর্শ দেন। এবং বর প্রদান করে বলেন যে, বৃন্দার ভস্মে তুলসী, ধাত্রী, পলাশ ও অশ্বত্থ―এই চারি প্রকার বৃক্ষ জন্মলাভ করবে।