Kingdom: Plantae
|
ইংরেজি :
sugar-apple। সংস্কৃত : গণ্ডগাত্র। হিন্দি
: সীতাফল। তামিল : সীতা। বার্মা আউজা।
বৈজ্ঞানিক নাম Annona squamosa
।
সমগোত্রীয় উদ্ভিদ : নোনা
![]() |
আতা পাতা |
Annonaceae গোত্রের
একটি বৃক্ষ ও তার ফল। এর আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশের উষ্ণস্থান। বর্তমানে ভারত,
বাংলাদেশ, মায়ানমারে এই গাছ পাওয়া যায়।
এই গাছের গড় উচ্চতা ১৫ ফুট। আমেরিকা মহাদেশে কোনো কোনো গাছ সর্বোচ্চ ২৫-২৬ ফুট
পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই গাছের বাকল ধূসরবর্ণের হয়। কাঠ বেশ নরম। এর পাতা ২-৩ ইঞ্চি
লম্বা এবং প্রস্থে ১.৫ ইঞ্চি হয়। পাতাগুলোর অগ্রভাগ সরু।
![]() |
আতাফুল |
![]() |
আতাফল |
এই গাছের ফুল একটি করে বা জোড়া
জোড়া হয়। ফুলগুলো ১ থেকে ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। এর পাপড়ি সংখ্যা ৩টি। কিন্তু
পুংকেশর সংখ্যায় অনেক। কিন্তু পুংকেশরে তুলনায় পাপড়িগুলো বেশ বড় হয়ে থাকে। ফলে
ফুলগুলো লম্বাটে দেখায়। এর ফুল ধরে মার্চ এপ্রিল মাসে। আগষ্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে
এর ফল হয়। ২ থেকে ৪ ইঞ্চি ব্যাসের ফলগুলো বেশ শাঁসাল। ফলের বাইরে ত্বক বেশ পুরু।
ফলের ত্বকের বাইরে দিকটা দেখে মনে হয়, ছোটো ছোটো খণ্ডে বিভক্ত। ফলগাত্রের এই
খণ্ডধর্মী নকশা অন্যান্য গাছের ফলগুলো একে পৃথক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। ফলের ভিতরে
বোঁটা কিছুটা প্রবিষ্ট থাকে। এই দণ্ডের বাইরে ছোটো ফলের কোয়া দেখা যায়। প্রতিটি
কোয়ার ভিতরে কালচে বিচি থাকে। মূলত এই বিচি ঘিরে থাকা শাঁসালো অংশই মানুষ, পাখি
খেয়ে থাকে। ফলগুলো বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়।
ভারতীয় আয়ুর্বেদে এই গাছের বিভিন্ন গুণাগুণ উল্লেখ করা হয়। যেমন-
১. আতার পাতা, শিকড়, ফলে কীটনাশক উপাদান আছে।
২. বড় ফোঁড়াকে প্রশমিত করার জন্য, পাকাফল পানের সাথে মিশিয়ে মলম বানিয়ে ফোঁড়ার উপর
প্রলেপ দিতে হয়।
৩. রক্ত আমাশয় নিরাময়ে এই গাছের শিকড় অত্যন্ত উপাকরী।
৪. আতার পাতা বাটিয়া ঘায়ে লেপন করলে, ঘা শুকিয়ে যায়।
Kingdom: Plantae
|
ইংরেজি :
custard-apple, bullock's heart, bull's heart
।
হিন্দি : রামফল। তামিল : সীতা। বার্মা আউজা।
বৈজ্ঞানিক নাম Annona
reticulata।
Annonaceae গোত্রের আতার ন্যায় গাছ ও তার ফল। এর
আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশের উষ্ণস্থান। বর্তমানে ভারত,
বাংলাদেশ, মায়ানমারে এই গাছ পাওয়া যায়।
এই গাছের গড় উচ্চতা ৩০ ফুট। আমেরিকা মহাদেশে কোনো কোনো গাছ সর্বোচ্চ ৪০ ফুট পর্যন্ত
হয়ে থাকে। এই গাছের বাকল ধূসরবর্ণের হয়। কাঠ বেশ নরম। এর পাতা ৫-৮ ইঞ্চি লম্বা এবং
প্রস্থে ২ ইঞ্চি হয়। পাতাগুলোর অগ্রভাগ সরু। বোঁটা .৫ ইঞ্চি লম্বা হয়।
এই গাছের ফুল দুই তিনটা ফুল একত্রে জন্মে। ফুলগুলো ১ থেকে ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা
হয়। আতার ফুলের এর পাপড়ি সংখ্যা ৩টি। কিন্তু পুংকেশর সংখ্যায় অনেক। কিন্তু পুংকেশরে
তুলনায় পাপড়িগুলো বেশ বড় হয়ে থাকে। ফলে ফুলগুলো লম্বাটে দেখায়। এর ফুল ধরে মার্চ
এপ্রিল মাসে। আগষ্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এর ফল হয়। ফলগুলো প্রায় গোলাকার ২ থেকে ৪
ইঞ্চি ব্যাসের ফলগুলো বেশ শাঁসাল। ফলের বাইরে ত্বক বেশ পুরু। ফলের ত্বকের বাইরে
দিকটা দেখে মনে হয়, ছোটো ছোটো খণ্ডে বিভক্ত। তবে আতার মতো এই বিভাজন অতোটা স্পস্ট
নায়। ফলের ভিতরে বোঁটা কিছুটা প্রবিষ্ট থাকে। এই দণ্ডের বাইরে ছোটো ফলের কোয়া দেখা
যায়। প্রতিটি কোয়ার ভিতরে কালচে বিচি থাকে। মূলত এই বিচি ঘিরে থাকা শাঁসালো অংশই
মানুষ, পাখি খেয়ে থাকে। ফলগুলো বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়।
ভারতীয় আয়ুর্বেদে এই গাছের বিভিন্ন গুণাগুণ উল্লেখ করা হয়। যেমন-
১. নোনা আমাশয় নিবারক এবং ক্রিমি ধ্বংসকারী।
২. বিচি বিষাক্ত। স্বল্প মাত্রায় মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। গর্ভবতীদের যোনির
দ্বিতীয় আবর্তে বিচির মলম প্রয়োগ করলে গর্ভপাত হয়।
৩. পাতা ক্রিমিনাশক।
সূত্র :
ভারতীয় বনৌষধি । প্রথম খণ্ড। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০২