গম
সংস্কৃত গোধূম।
ইংরেজি
Wheat
।
বৈজ্ঞানিক নাম :
Triticum astivim।
Kingdom: Plantae
|
এটি Poaceae গোত্রের একটি তৃণ জাতীয় বর্ষজীবী উদ্ভিদ। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে এর প্রথম আরম্ভ হয়েছিল– তাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস (বর্তমান ইরাক) নদীর মধ্যবর্তী স্থানে এর প্রথম চাষ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এই শস্যটি সারা পৃথিবীতে কম বেশি চাষ হয়ে থাকে।
গ্রীষ্ম
ও অবগ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু সমৃদ্ধ অঞ্চল থেকে শুরু করে নাতিশীতোষ্ণ ও
তুন্দ্রাঞ্চলীয় জলবায়ু সমৃদ্ধ অঞ্চলে গম জন্মে। এর চাষের জন্য বার্ষিক বৃষ্টিপাত
১৫-৪৫ ইঞ্চি (৩৮০-১১৪৩ মিলিমিটার) খউব উপযোগী। তবে ১০-৭০ ইঞ্চি (২৫৪-১৭৭৮
মিলিমিটার) বার্ষিক গড়পড়তা বৃষ্টিতেও গম ভালো জন্মে। সাইবেরিয়া ও মেরু অঞ্চলের
প্রবল শীতেও গম গাছ টিকে থাকতে পারে। আবার ২১-২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়ও গম
চাষ করা যায়।
গমা চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি দো-আঁশ মাটি বেশি উপযোগী৷ লোনা মাটিতে গমের চাষ ভালো
হয় না। তবে এঁটেল ও এঁটেল-দোঁআশ মাটিতেও গমের চাষ করা যায়। গমের চারা সর্বাধিক দেড়
মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর গাছগুলো সোজা লম্বা হয়। এর পাতা চেপ্টা এবং অগ্রভাগ
ক্রমশ সরু হয়। পাতাগুলো ৫-৯ ইঞ্চি লম্বা এবং ১.২৫ ইঞ্চি চওড়া হয়। গাছের মস্তক বরাবর
শীষ হয়। প্রত্যেকটি শস্যের মাথায় লম্বা শুঁয়া থাকে। এদের পুষ্পগুচ্ছ ২-৪ ইঞ্চি
লম্বা হয়। ফুলে ৩টি পুংকেশর এবং দুটি গর্ভদণ্ড থাকে।
এর
দানাগুলির রঙ প্রজাতি ভেদে সাদাটে, হলদে, লালচে বর্ণের হয়ে থাকে। এই দানা শুকিয়ে
গুঁড়ো করলে যে সাদা পাউডার তৈরি হয়, তাকে ময়দা বা আটা বলা হয়। এতে শতকরা ৭১.৭৭ ভাগ
শর্করা, ১২.৩ ভাগ আমিষ, ১.৮ ভাগ তেল, ১.৭ ভাগ আঁশ এবং বাকি ১২.৫ ভাগ পানি থাকে। গম
থেকে রুটি, বিস্কুট, পিঠা, মিষ্টি সুজি, সেমাই, নুডলস ইত্যাদি তৈরি হয়।
এর সাধারণ প্রজাতি হিসাবে Triticum astivim। বিশেষ পরিচিত। কিন্তু আরও অনেকগুলো প্রজাতি আছে। এর ভিতর উল্লেখযোগ্য প্রজাতিগুলো হলো-
T. aestivum
T. aethiopicum
T. araraticum
T. boeoticum
T. carthlicum
T. compactum
T. dicoccoides
T. dicoccum
T. durum
T. ispahanicum
T. karamyschevii
T. macha
T. militinae
T. monococcum
T. polonicum
T. spelta
T. sphaerococcum
T. timopheevii
T. turanicum
T. turgidum
T. urartu
T. vavilovii
T. zhukovskyi
সূত্র :
ভারতীয় বনৌষধি। পঞ্চমখণ্ড। কলিকাতা বিশ্বিদ্যালয় ২০০২।
http://en.wikipedia.org/wiki/Wheat