Kingdom: Plantae
Division: Magnoliophyta
Class: Magnoliopsida
Order: Ranunculales
Family: Ranunculaceae
Genus: Aconitum

কাঠবিষ
সংস্কৃত বৎসনাভ
এই নামে দুটি প্রজাতির গাছকে বাংলাতে কাঠবিষ বলা হয়। কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা উভয় প্রজাতির নাম যথাক্রমে 
Aconitum ferox এবং Aconitum nepellus
ইংরেজি নাম : Indian Aconit

Ranunculaceae
গোত্রের একটি ‌একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর Aconitum ferox প্রজাতিটি হিমালয় পর্বতমালার সিকিম থেকে গাড়োয়াল পর্যন্ত ১০,০০০ থেকে ১৪,০০০ ফুট উচ্চে এই গাছগুলো জন্মে। পক্ষান্তরে Aconitum nepellus প্রজাতিটি হিমালয়ের সর্বোচ্চ ১৫,০০০ ফুট পর্যন্ত দেখা যায়। এছাড়া ইউরোপ, এশিয়ার শীত প্রধান অঞ্চলে, আমেরিকার মেরু অঞ্চলে এই গাছ জন্মে।

Aconitum ferox

Aconitum ferox :
এই প্রজাতির গাছের পাতাগুলো বিক্ষিপ্ত এবং দেখতে অনেকটা তরমুজের পাতার মতো। পাতার গা্য়ে এবং ডাঁটায় বেশ লোম আছে। এই গাছের পুষ্পদণ্ড সোজা, ফুল কাণ্ডের উভয় দিকে জন্মে। ফুলের বাইরের দিকটা লোমযুক্ত। সাধারণত এ নীল বর্ণের হয়ে থাকে। ফুলের উপরিভাগ টুপির মতো দেখায়। ফুলগুলো দেখতে অনেকটা মটর ফুলের মতো মনে হয়। এর ফলে কাঁটা আছে। ফলগুলো মোটা ও খাটো। বীজের রঙ কালো।

এর কন্দ থেকে শিকড় বের হয়। এই কন্দ বাজারে একোনাইট নামে বিক্রয় হয়। এই গাছের মূল ও কন্দ অত্যন্ত বিষাক্ত। তবে এর অপর প্রজাতি Aconitum nepellus অপেক্ষা কম বিষাক্ত। ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রে এই গাছ থেকে তৈরি ঔষধ বহুমুত্র রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর শিকড় দ্বারা তৈরিকৃত মলম পেশীর বাত ও চুলকানি নিরাময় হয়। এছাড়া সর্দি, গলার ক্ষত আলজিহ্বা বৃদ্ধি রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। পুরাতন ও অবিরাম জ্বর নিবারণে এই গাছের ব্যবহার করা হয়। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করলে, শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

পূর্বে ভারতীয় আদিবাসীরা তাদের তীরের অগ্রভাগে এই বিষ মেখে শিকার করতো।

Aconitum nepellus

Aconitum nepellus :
এই প্রজাতির গাছ মরে গেলে এর মূল থেকে নতুন মূল গাজিয়ে নতুন গাছের জন্ম হয়। এই গাছগুলো লম্বায় ২-৩ ফুট লম্বা হয়।  পাতাগুলো বিক্ষিপ্ত এবং দেখতে অনেকটা তরমুজের পাতার মতো। গাছের পাতা রজনীগন্ধার পাতার ন্যায়। উপরের দিককার পাতা ছোটো হয়। 

এর ফুল সবুজের আভাযুক্ত নীল বর্ণের।  ফুলগুলো দেখতে অনেকটা মটর ফুলের মতো মনে হয়। ফুলগুলো উদ্ভিদ শীর্ষের মঞ্জরীতে ফুটে থাকে। এর পাঁচটি পাপড়ি সদৃশ বৃতি সিলিণ্ডার আকৃতির হয়ে ফুলের পিছন দিকে থাকে।  এর অনেকগুলো লোমযুক্ত পুংকেশর থাকে। এর ফলের রঙ কালো। বীজকোষে অনেক বীজ থাকে।

এর অন্যান্য উপপ্রজাতিগুলো হলো- দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কাঠবিষ।

  • Aconitum napellus napellus.
  • Aconitum napellus corsicum
  • Aconitum napellus firmum
  • Aconitum napellus fissurae
  • Aconitum napellus shians
  • Aconitum napellus lusitanicum
  • Aconitum napellus superbum
  • Aconitum napellus tauricum
  • Aconitum napellus vulgare

সূত্র :
ভারতীয় বনৌষধি। প্রথম খণ্ড। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০২