Kingdom: Plantae |
কেয়া (উদ্ভিদ)
ইংরেজি :
Screw Pine
।
সংস্কৃত : কেতকী
বাংলা : কেতকী, কেয়া, কেওড়া।
বৈজ্ঞানিক নাম : Pandanus fascicularis।
Pandanaceae গোত্রের উদ্ভিদ বিশেষ। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার স্থানীয় গাছ। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, জাপান প্রভৃতি দেশে প্রচুর জন্মে। বাংলাদেশের সমতলভূমি ছাড়াও সুন্দরবন, সেন্টমার্টিন-এ এই গাছ প্রচুর দেখা যায়। এই গাছগুলো পরস্পরের সাথে জড়াজড়ি করে নিবিড় এবং দুর্গম পরিবেশ তৈরি করে।
কেয়া গাছ লম্বায় ১০-১২ ফুট হয়ে থাকে। এর কাণ্ড গোলাকার এবং কণ্টকময়। গাছের প্রধান
কাণ্ড থেকে অনেক শাখা-প্রশাখা বের হয়। গাছগুলো প্রায় বক্র হয়। গাছের নিম্নদেশ থেকে
মোটা শাখা পর্যন্ত বেশ কিছু মূল বের হয়ে মাটিতে ভিত্তি তৈরি করে। এগুলোকে ঠেসমূল
বলা হয়। এই মুল গাছের কাণ্ডকে দৃঢ়ভাবে মাটির সাথে যুক্ত করে এবং গাছের ভারবহনে
সহায়তা করে।
এই গাছের পাতা কাণ্ড থেকে সরাসরি পত্রমূল ছাড়াই বের হয়। পাতার গোড়া কাণ্ডের সাথে জড়িয়ে থাকে। এর পাতা ৪ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং ২-৩ ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতার উভয় প্রান্তে করাতের মতো কাঁটা থাকে। পাতার অগ্রভাগ সরু। পাতাগুলোর অগ্রভাগ মাটির দিকে অবনত থাকে। অনেক সময় দেখে হয় যে, যেন পাতার মাঝখান থেকে ভেঙে গেছে। পাতার রঙ সবুজ এবং উভয় তল মসৃণ।
কেয়া একলিঙ্গীক গাছ। পুরুষ কেয়াকে বলা হয় সিত কেতকী এবং স্ত্রী কেতকীকে বলা হয় স্বর্ণ কেতকী বা হেম কেতকী। এর ফুল ফোটে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে। এই কারণে বাংলাদেশে একে বর্ষার ফুল বলা হয়। এর ফুলের রঙ সাদা এবং গন্ধযুক্ত। আশ্বিন কার্তিক মাসে গুচ্ছাকারে ৫-২০ পর্যন্ত ফল হয়। এই ফলের গাত্র বেশ শক্ত হয়। দূর থেকে এই গুচ্ছ ফলকে আনারসের মতো মনে হয়। এর রঙও আনারসের মতো লালচে হয়ে থাকে।
এই গাছের ফুল থেকে সুগন্ধী তেল তৈরি করা হয়। এই তেলকে কেওড়া তেল বলা হয়।
সূত্র :
ভারতীয় বনৌষধি। পঞ্চম খণ্ড। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০২।
http://en.wikipedia.org/wiki/Pandanus_fascicularis