কমলা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { | সাইট্রাস বৃক্ষ | ফলদবৃক্ষ | আবৃতবীজী বৃক্ষ | বৃক্ষ | কাষ্ঠময় উদ্ভিদ | ভাস্কুলার উদ্ভিদ | উদ্ভিদ | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

বিভিন্ন সাইট্রাস বৃক্ষের যে কোি গোলাকার হলুদ বা কমলা বর্ণের ফল।
কমলা, কমলালেবু, নাগরঙ্গ, নারঙ্গ, নারাঙ্গা, নারাঙ্গি, সান্তারা, সান্তোলা।
ইংরেজি :
orange
কমলালেবুর গাছ, কমলালেবু গাছ, কমলা গাছ। ইংরেজি : orange tree

টি Rutaceae গোত্রের Citrus গণের গাছ। এর বেশ কিছু প্রজাতি রয়েছে। এটি মূলত টক-মিষ্টি স্বাদের একটি ফল। তবে সাধারণভাবে মিষ্টি-ধিক্যযুক্ত প্রজাতির নাম- Citrus sinensis এবং টক-ধিক্য জাতীয় প্রজাতির নাম- Citrus aurantium

এটি ভারতবর্ষের গাছ। এর সংস্কৃত নাম নারাঙ্গি। স্পেনিশ ভাষায় সংস্কৃত নারাঙ্গি শব্দ থেকে এর নাম গৃহীত হয়েছে- naranja। ইংরেজি ভাষায় দিতে শব্দটি গৃহীত হয়েছিল- na rangi থেকে norange হিসাবে। ইংরেজ লেখকরা গোড়ার দিকে a র্টিকেল যুক্ত করে এই ফল বা গাছকে লিখতো a norange । পরে norange শব্দটির n অক্ষরটি বিচ্যুত হয়ে হয় an orange

কমলা গাছ চিরসবুজ বৃক্ষ হিসাবে পরিচিত। এই গাছ উচ্চতায় সর্বোচ্চ ৯ মিটার (৩০ ফুট) পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর পাতাগুলি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে। ফুলগুলির রঙ সাদা ও সুগন্ধ যুক্ত। কমলা গাছ লাগানোর প্রায় তিন বছর পর থেকে ফল দেওয়া শুরু হয়। এবং বৎসরের সারা সময়ই কমবেশি ফল ফুল ধরতে দেখা যায়। ভারতবর্ষের ফল হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এর চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে কমলার চাষ হয়ে থাকে। ভারত, পাকিস্তান, স্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, দক্ষিণ ফ্রিকা, চীন প্রভৃতি দেশে এর ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে।

কমলালেবুকে বাণিজ্যিকভাবে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটি হলো- মিষ্টি কমলা ও টক কমলা। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এর বিভাজন ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। ফলগুলোরর ভিতরে রসপূর্ণ ছোট ছোট পুটুলি থাকে। এই পুটুলিগুলি বার কতকগুলি কক্ষে বা কোয়াতে বিভক্ত থাকে।

কমলার রস ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এর রস সিরাপ ও সরবত জাতীয় পানীয়ের উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এর খোসা ও রসের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়, জ্যাম, জেলি, মারম্যালড ইত্যাদি।