Kingdom: Plantae
Order: Cucurbitales
Family: Cucurbitaceae
genus: momordica
Species: momordica charantia Descourt

করলা/উচ্ছে
ইংরেজি : bitter melon, bitter gourd or bitter squash
বৈজ্ঞানিক নাম :
momordica charantia Descourt

তিক্ত স্বাদ যুক্ত এক প্রকার ফল ও তার গাছের নাম। এর দুটি প্রকরণ রয়েছে। বড় জাতের ফল হয়, এমন গাছ ও তার ফলকে বলা হয় করলা। এর সংস্কৃত নাম কঠিল্ল, কারবেল্ল। ছোট জাতের করলাকে বলা হয় উচ্ছে। এর সংস্কৃত নাম কারবেল্লী।
 

পুষ্টি গুণ প্রতি ১০০ গ্রাম

শক্তি  ৭৯ কিলোজুল (১৯ কিলোক্যালোরি)
শর্করা ৪.৩২ গ্রাম
 
-চিনি  ১.৯৫ গ্রাম
  -ডায়াটেরি আঁশ ২ গ্রাম
চর্বি ০.১৮ গ্রাম
আমিষ ০.৮৪ গ্রাম
পানি ৯৩.৯৫ গ্রাম
ভিটামিন এ ৬ μগ্রাম (১%)
   -বিটা-ক্যারোটিন ৬৮ μগ্রাম (১%)
   -লুটেইন এবং জিক্সাথিন১৩২৩ μগ্রাম
থায়ামিন (ভিটামিন বি১) ০.০৫১ মিলিগ্রাম (৪%)
রিভোফ্লাভিন (ভিটামিন বি২) ০.০৫৩ মিলিগ্রাম (৪%)
নিয়াসিন (ভিটামিন বি৩) ০.২৮ মিলিগ্রাম (২%)
প্যানটোথেনিক এ্যাসিড (বি৫) ০.১৯৩ মিলিগ্রাম (৪%)
ভিটামিন বি৬ ০.০৪১ মিলিগ্রাম (৩%)
ফোলাট  (ভিটামিন বি৯) ৫১ μগ্রাম (১৩%)
ভিটামিন সি ৩৩ মিলিগ্রাম (৪০%)
ভিটামিন ই  ০.১৪ মিলিগ্রাম (১%)
ভিটামিন কে ৪.৮ μগ্রাম (৫%)
ক্যালসিয়াম ৯ মিলিগ্রাম (১%)
লৌহ ০.৩৮ মিলিগ্রাম (৩%)
ম্যাগনেশিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম (৫%)
ম্যাঙ্গানিজ ০.০৮৬ মিলিগ্রাম (৪%)
ফসফরাস ৩৬ মিলিগ্রাম (৫%)
পটাশিয়াম ৩১৯ মিলিগ্রাম (৭%)
সোডিয়াম ৬ মিলিগ্রাম (০%)
দস্তা  ০.৭৭ মিলিগ্রাম (৮%

Cucurbitaceae গোত্রের এই উদ্ভিদের আদি নিবাস ভারতবর্ষ। বর্তমানে এই উদ্ভিদ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ক্যারাবিয়ান অঞ্চলে ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। ১৪শ শতাব্দীর দিকে প্রথম চীনে এই উদ্ভিদের চাষ শুরু হয়েছিল। পরে অন্যান্য দেশে এর চাষ শুরু হয়।
 

করলার পাতা ও ফুল

এটি বর্ষজীবী লতানো গাছ। একটি আঁকড়ি থাকে। এর পাতা গোলাকার বা ডিম্বাকার। তবে তবে গোড়ার দিকে কর্তিত এবং অসমান অংশে বিভাজিত থেকে বলে গোল মনে হয় না। পাতার  ব্যাস ১-৩ ইঞ্চি,  পাতায় লোম থাকে।

 

একই গাছে পুরুষ ও স্ত্রীফুল ফোটে। পুষ্পদণ্ডে একটি গোলাকার পুরুষ ফুল হয়। এর পাপড়ির রঙ পীত বর্ণের হয়ে থাকে। পুরুষ ফুল স্ত্রী ফুলের চেয়ে ছোটো হয় এবং স্ত্রী-ফুল পুষ্পদণ্ড অবনত থাকে।

 

এর ফলের গাত্র অসমান। ফলের গায়ে আঁচিলের মতো অসংখ্য দানা থাকে। প্রজাতি ভেদে লম্বায় ১-৭ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।  ফলের উভয় প্রান্ত সরু কিন্তু মধ্যভাগ মোটা। করলা বা উচ্ছের জাত হিসেবে লালচে, কালচে, সবুজ ইত্যাদি বর্ণের দেখা যায়। স্বাদের বিচারে এই ফল বেশ তিতা।

গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এই ফল সব্জি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মশলা সহযোগে ভেজে  বা তরকারি হিসেবে রান্না করা হয়। যথেষ্ঠ তিতা হওয়া সত্ত্বেও অনেকই করলা ভর্তা হিসেবে খেয়ে থাকেন। তবে কাঁচা করলা খাওয়ার রীতি নেই।

 

করলা উচ্ছে

প্রাচীনকাল থেকে করলা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ ও পরবর্তী সময়ে চর্চিত কবিরাজি চিকিৎসায় বলা হয়- এর পাতার রস লবণ দিয়ে খেলে পিত্তে সঞ্চিত অপদ্রব্য বমি এবং মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যায়। এছাড়া করলা পাতা মুত্র বর্ধক, কৃমি নাশক এবং জ্বর নাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। গোলমরিচ সহযোগে করলা রস খাওয়ালে ম্যালেরিয়া রোগের উপশম হয়। এর বিচি ও গোলমরিচ বেঁটে খাওয়ালে বমি দূর হয়। কচি করলার টুকরা শুকিয়ে এবং তা চূর্ণ করে নিয়মিত দুই চা চামচ করে নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস রোগের উপশম হয়। করলার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খেলে অর্শ রোগের উপকার হয়।


সূত্র :