বৈজ্ঞানিক পরিচিত:
|
শাল
সংস্কৃত : অশ্বকর্ণ, কৌশিক।
বৈজ্ঞানিক নাম :
Shorea
robusta,
Gaertn।
Dipterocarpaceae
গোত্রের
Shorea গণের
বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ।
ধারণা করা হয়, এটি ভারতবর্ষের স্থানীয় গাছ।
দক্ষিণ হিমালয় থেকে মায়নমারা পর্যন্ত এই গাছ প্রচুর দেখা যায়। বাংলাদেশ
এবং ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, হরিয়ানার শিবালিক পাহাড়ে এই গাছ
পাওয়া যায়। ফাল্গুন মাস ছাড়া এই গা্ছে প্রচুর পাতা সব সময়ই দেখা যায়। এই কারণে একে
প্রায় চির-সবুজ বৃক্ষ বলা যায়।
এই
গাছের
কাণ্ড
সরল।
উচ্চতায় প্রায় ৩০-৩৫ ফুট হয়। পূর্ণ বয়স্ক শালগাছের গুঁড়ির ব্যাস প্রায় ২-২৫ মিটার।
গাছের বাকল ২-৫ সেন্টিমিটার পুরু হয়। এর পাতা লম্বায় ১০-২৫ সেন্টিমিটার এবং ৫-১৫
সেন্টিমিটার চওড়া। পাতার বোঁটা প্রায় ২.৫ সেন্টিমিটার হয়। দৈর্ঘ্য-প্রস্থের বিচারে
পাতাগুলো ডিম্বাকৃতির মনে হয়।
ফুলোগুলোর গায়ে সামান্য লোম থাকে। মার্চ মাসে এর ফুল ফোটে। শাল গাছের ফুল ১.২৫
সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এর পাপড়ির রঙ সাদা বা ফিকে পীতবর্ণের হয়। এর ফল ১-২
সেন্টিমিটার লম্বা হয়। ফল ধরে মে জুন মাসে।
শালগাছের কাঠ মূলত খুঁটি হিসাবে ব্যবহৃত
হয়। অনেক সময় আসবাবপত্র বানানো হয়। অর্থকরী বৃক্ষ হিসাবে, অনেকেই শাল গাছ আবাদ করে
থাকে।
আয়ুর্বেদ মতে, এর আঠা রক্ত-আমাশয় নিবারণ করে। আগুনে দিলে আঠা থেকে সুগন্ধ বের হয়।
এই গাছ থেকে উৎপন্ন ধূপ পাইন গাছের ধূপের মতোই।
সূত্র
ভারতীয় বনৌষধি (প্রথম খণ্ড)। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০২।