Kingdom: Plantae
Order: Lamiales
Family: Pedaliaceae
Genus: Sesamum
Species: Sesamum indicum

তিল
সংস্কৃত : তিল, হোমধান্য
বাংলা, হিন, উর্দু, মারাঠি
: তিল
ইংরেজি :
Sesame
বৈজ্ঞানিক নাম : Sesamum indicum

 

 তিল তেলের পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রাম)

শক্তি ২,৬৪০ কিলোজুল (৬৩০ কিলোক্যলোরি)
শর্করা ১১.৭৩ গ্রাম
   -চিনি  ০.৪৮ গ্রাম
   -আঁশ  ১১.৬ গ্রাম
চর্বি ৬১.২১ গ্রাম
আমিষ ২০.৪৫ গ্রাম
  -ট্রাইপ্টোফ্যান ০.৩৩০ গ্রাম
  -থ্রেয়োনাইন ০.৭৩০ গ্রাম
  -আইসোলেউসিন ০.৭৫০ গ্রাম
  -লেউসিন ১.৫০০ গ্রাম
   -লাইসিন ০.৬৫০ গ্রাম
   -মেথিয়োনাইন ০.৮৮০ গ্রাম
   -সিস্টাইন ০.৪৪০ গ্রাম
   -ফেনিলালানাইন ০.৯৪০ গ্রাম
   -ট্রাইয়োসাইন ০.৭৯০ গ্রাম
   -ভ্যালাইন ০.৯৮০ গ্রাম
   -আর্গিনাইন ৩.২৫০ গ্রাম
   -হিস্টিডাইন ০.৫৫০ গ্রাম
   -এ্যালানাইন ০.৯৯০ গ্রাম
   -এ্যাসপ্যারেটিক এ্যাসিড ২.০৭০ গ্রাম
   -গ্লুট্যামিক এ্যাসিড ৪.৬০০ গ্রাম
   -গ্লাইসিন এ্যাসিড ১.০৯০ গ্রাম
   -প্রোলাইন ১.০৪০ গ্রাম
   -সেরাইন ১.২০০ গ্রাম
   -হাইড্রোক্সিপ্রোলাইন ০.০০০ গ্রাম
পানি ৩.৭৫ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম (৬%)
লৌহ ৬.৪ মিলিগ্রাম (৪৯%)
ম্যাগনেশিয়াম ৩৪৫ মিলিগ্রাম (৯৭%)
ফসফরাস  ৬৬৭ মিলিগ্রাম (৯৫%)
পটাশিয়াম ৩৭০ মিলিগ্রাম (৮%)
সোডিয়াম ৪৭ মিলিগ্রাম (৩%)
দ্স্তা ১১.১৬ মিলিগ্রাম (১১৭%)

Pedaliaceae গোত্রের  Sesamum গণের উদ্ভিদ। এই গাছের আদি নিবাস। আফ্রিকা ছাড়াও ভারতবর্ষ ও চীনে, প্রায় ৩০০০ বছর আগে থেকে চাষ শুরু হয়। তেল ও পশুখাদ্যের জন্য চাষ করা শুরু হয়েছিল। ‌এই উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন তেলকে তিল-তেল বলা হয়। তিল চাষের জন্য দোঁ-আশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী।

 

তিল গাছ প্রায় ৫০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কাণ্ড সোজা এবং লোমযুক্ত। পাতাগুলো কাণ্ডের গায়ে একান্তর বিন্যাসে বিন্যস্ত থাকে। পাতাগুলো ৪-১৪ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। গাছের উপরের পাতাগুলো লম্বা ও সরু হয়। পাতার প্রান্তভাগ খাঁচকাটা। কাণ্ডের মধ্যভাগের পাতা ডিম্বাকৃতির হয়। আর কাণ্ডের নিচের দিককার পাতা পাকানো থাকে। পাতার বোঁটা প্রায় ৩-৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়।

 

প্রজাতিভেদে পাতার গোড়ায় সাদা, গোলাপি, নীলচে ইত্যাদি রঙের ফুল ফোটে।  ফুলগুলো ৩-৫ লম্বা হয়। ফুলগুলো দেখতে ঘণ্টার মতো মনে হয়। ফুলের মুখের কাছে পাপড়ি চারটি ভাগে বিভক্ত থাকে।

এর বীজকোষ ২-৩ সেন্টিমিটার লম্বা শুঁটির ভিতরে থাকে। বীজের রঙ ধূসর ও মসৃণ। শুঁটির ভিতরে চার-পাঁচটি প্রকোষ্ঠ থাকে। ফল পাকার পর, শুঁটি ফেটে বীজ বের হয়ে আসে। 

 

তিলের বীজ সংগ্রহ করে পিষ্ট করে তেল বের করা হয়। এই তেলে কোনো বিশেষ ধরনের স্বাদ থাকে না। তাই এই তেলকে স্বাদহীন বলা হয়। এই তেল বর্ণহীন। মানুষের খাদ্যোপযোগী। তেল বের করার পর যে খইল পাওয়া যায়, তা পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।  তিলের তেল রান্নার জন্য ব্যবহার করা যায়। এছাড়া মাথার চুলের জন্য ও প্রসাধনী দ্রব্য তৈরির জন্য এই তেল ব্যবহার করা হয়। ত্বকের মসৃণতা আনায়নে তিলের তেল খুব উপকারী।
 

বাংলাদেশে গুড় বা চিনির রস দিয়ে তিলযুক্ত এক প্রকার মুখোরোচক মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তৈরি করা হয়। একে বলা হয় তিলে-খাজা। চিনি সমৃদ্ধ এই খাদ্য বহুমুদ্র রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিলে-খাজা নানাভাবে তৈরি করা হয়। তবে রাজশাহীর তিলে-খাজা বিখ্যাত।

 

কবিরাজি চিকিৎসায় এর তিলের বীজ অর্শ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর ক্বাত্থ ক্ষতে পুলটিশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর বীজ এবং তেল আমাশয়ের জন্য উপকারী। 


 

সূত্র :
ভারতীয় বনৌষধি
(তৃতীয় খণ্ড), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০২।
http://www.omnilexica.com/?q=sesamum+indicum