Kingdom: Animalia |
শঙ্খ শালিক
এর অপর নাম বামনী ময়না।
ইংরেজি:
Brahminy Myna
বা
Brahminy Starling
বৈজ্ঞানিক নাম :
Sturnia pagodarum
এটি Sturnia গণের একটি প্রজাতি। উল্লেখ্য, ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে এই গণের নামকরণ করেছিলেন Lesson। আকার শালিকের মতো। ১৭৮৯ খ্রিষ্টব্দে এই প্রজাতির (Sturnia pagodarum) নামকরণ করেছিলেন Gmelin। এর অপর নাম Temenuchus pagodarum।
এরা গায়ক পাখি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এরা মূলত ভারত উপমহাদেশের পাখি। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং নেপালে এদের প্রচুর দেখা যায়। এছাড়া শীতকালে শ্রীলঙ্কাতে এদের দেখা যায়। আর গ্রীষ্মকালে হিমালয় পর্বতমালার পশ্চিম এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে দেখা যায়। এরা মূলত শুষ্ক বনভূমিতে বসবাস করে। এছাড়া এর মনু্ষ্য বসতি-এলাকায় বাসগৃহ, মন্দির বা এই জাতীয় অট্টালিকার আনাচে কানাচে থাকে। এরা পাঁচ-ছয়টি একত্রে দলবদ্ধভাবে বিচরণ করে।
পুরুষ পাখি |
এর মাথায় কালো নরম পালকে আবৃত থাকে। দেখতে অনেকটা টুপির মতো মনে হয়। পুরুষ পাখির মাথার উপরের এই টুপি স্ত্রীর পাখির চেয়ে সুস্পষ্ট দেখায়। পুরুষ পাখির গলার নীচে লম্বা ঝুঁটি দেখা যায়।
স্ত্রী পাখি |
এদের শরীরের রঙ বিস্কুটের মতো। এদের ঠোঁট হলদে এবং ঠোঁটের গোড়া দিক নীল নীলচে। চোখের মণি খোলাটে এবং চোখের প্রান্তভাগ জুড়ে নীলচে বলয় আছে। পায়ের রঙ হলদে। এদের লেজের পালকের রঙ সাদা। ডানার প্রান্তীয় অংশে কালো পালক আছে।
এরা মূলত সর্ভভূক। এরা গাছের ফল এবং কীটপতঙ্গ আহার করে। তবে এদের প্রিয় খাদ্য বটগাছের ফল।
এদের প্রজননকাল মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস। প্রজননকালে উভয় পাখি বাসা তৈরি করে। বাসা তৈরির ক্ষেত্রে এরা শুকনো কড়কুটো, পালক, ন্যাকড়া জাতীয় উপকরণ ব্যবহার করে। স্ত্রী পাখি এক সাথে ৩-৪টি ডিম পাড়ে। ১২ থেকে ১৪ দিন ডিমে তা তা দেওয়ার পর ডিম থেকে শাবক বেরিয়ে আসে।
সূত্র
পশ্চিম বাংলার পাখি । প্রণবেশ সান্যাল, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড মে ১৯৯৭।