Kingdom: Animalia
Phylum: Chordata
Class: Aves
Order: Accipitriformes
Family: Accipitridae
Genus: Accipiter
Species: Accipiter badius
Gmelin, 1788
 
 উপ-প্রজাতিসমূহ
cenchroides (Severtzov, 1873)
dussumieri (Temminck, 1824)
badius (Gmelin, 1788)
poliopsis (Hume, 1874)
sphenurus (Rüppell, 1836)
polyzonoides A. Smith, 1838

সমনাম
Astur badius
Scelospizias badius
Micronisus badius

তুর্কিবাজ
ইংরেজি নাম:  Little Banded Goshawk
বৈজ্ঞানিক নাম :
Accipiter badius Gmelin, 1788
অন্যান্য নাম : পাতি শিক্রে ও শিক্রে।

 

Accipitridae গোত্রের Accipiter গণের এক প্রকার শিকারী পাখি। এশিয়া এবং আফ্রিকা এই পাখি দেখা যায়। বাংলাদেশ ও ভারতে এই পাখিটি দেখা যায়। এরা মূলত খোলা বনভূমি, গ্রাম্য ঝোপঝাড়ে বাস করে। তবে শহরে আশপাশেও এদের দেখা যায়। এরা একা একা থাকে। প্রজনন কালে জোডা বাধে।

দৈর্ঘ্য ৩০-৩১ সেমি, ডানা ২০.৮ সেমি, ঠোঁট ২.২ সেমি, পা ৫.২ সেমি, লেজ ১৫.৬ সেমি, ওজন ১৯০-১৯৫ গ্রাম। স্ত্রী তুর্কীবাজের চাইতে পুরুষ বাজটি আকারে ছোট। এছাড়াও স্ত্রী-পুরুষের রঙের কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। পুরুষ বাজটির দেহের উপরিভাগ হালকা ছাই রঙা এবং দেহের নিচের দিক কমলা-খয়েরি হয়ে থাকে। ঠোঁটের নিচের অংশ এবং গলা সাদা। এদের পেটের ওপর হালকা কমলা রঙের সরু রেখার টানা টানা দাগ আছে। কিন্তু পায়ুর চারপাশের রঙ সাদা। ডানার তলদেশ ফ্যাকাশে রঙের ও পালকের আগায় ছাই রঙ লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে স্ত্রী বাজের পিঠের দিকটা হালকা খয়েরি-ছাই রঙের হয় আর মাথার বর্ণ ঘন ছাই। পেটের টানটান রেখাগুলোর রঙ একটু বেশি গাঢ়। স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের চোখের মণি সোনালি আভাযুক্ত লাল। ঠোঁট নীলচে-স্লেট বর্ণের হয়। ঠোঁটের ভেতরটা হলদেটে, ঠোঁটের গোড়া কমলা এবং পুরো পা হলুদ। এদের শাবকগুলো পূর্ণবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত- পিঠের দিকটা হালকা খয়েরি বর্ণ থাকে আর পেটের সাদা রঙের উপর খয়েরি ফোঁটাযুক্ত দাগ দেখা যায়। শাবকগুলোর ডানার তলার ছোট ছোট পালকগুলোতে খয়েরি ফোঁটা থাকে। এছাড়া লেজের ওপরে পাঁচটি কালচে ডোরা দাগ আছে।

পুরুষ তুর্কিবাজ

 স্ত্রী তুর্কিবাজ

 

এরা প্রায় সারাদিনই শিকারের খোঁজে থাকে। ঈগল পাখির মতো বহুদূর থেকে এরা শিকার দেখতে পায়। অধিকাংশ সময় গাছের উঁচু ডালে বসে নিচের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে শিকার খোঁজে। এদের রয়েছে শিকারের উপযোগী তীক্ষ্ণ ঠোঁট আর শক্তিশালী ধারালো-বাঁকা নখরযুক্ত পা। শিকার দেখলে এরা উড়ে গিয়ে শক্ত নখর দিয়ে আক্রমণ করে এবং শিকার কব্জায় আসার পরে উড়ে গিয়ে উঁচুতে বসে। এদের খাদ্য তালিকায় আছে গিরগিটি, ব্যাঙ, ছোট পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী, ফড়িং ইত্যাদি।

এরা এদের ডাক ‘কিউই...লিইই...কুই... লি-ইইই’। প্রজনন কালে পূর্বরাগের সময়  ‘কুই...লি, কুই...লি...’ সুর করে ডাকে। এরা পাতায় ঢাকা গাছের উঁচু ডালর বাসা তৈরি করে। সাধারণত ভূমি থেকে ৬-১২ মিটার উচ্চতায় এরা বাসা তৈরি করে। সরু কাঠি, পাতাসহ গাছের সরু ডাল, ঘাস-শিকড় দিয়ে মঞ্চ বাসা তৈরি করে। এপ্রিল-মে মাসে স্ত্রী বাজ ৩-৫টি নীলচে-ছাই রঙা ডিম পাড়ে। ডিমের আকার ৩.৯-৩.১ সেমি। স্ত্রী বাজ একাই ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফোটে ৩০-৩৫ দিনে, বাচ্চারা উড়তে শিখে প্রায় ৩০ দিনে।


সূত্র :
http://en.wikipedia.org/wiki/Shikra