Kingdom (রাজ্য) : Animalia
Phylum (পর্ব) : Chordata
Class (শ্রেণী) : Mammalia
Order
(বর্গ) : Perissodactyla
Family
(গোত্র) : Equidae
Genus (গণ) : Equus
Subgenus (উপগণ) :asinus
আফ্রিকান বন্য গাধা
আফ্রিকা মহাদেশের পাওয়া যায় এমন বন্য গাধার শ্রেণিগত নাম। এরা asinus উপগণের অন্তর্গত। এর সাধারণ বৈজ্ঞানিক নাম : Equus africanus। এদের আদি বাসস্থান ছিল আফ্রিকার ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়াতে। এছাড়া সুদান, মিশর ও লিবিয়াতে অল্পকিছু এই গাধা দেখা যেতো। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এই প্রজাতির নামকরণ করেছিলেন  von Heuglin & Fitzinger

খ্রিষ্টপূর্ব ৪ হাজার অব্দে এই আফ্রিকার বন্য গাধার একটি প্রজাতিকে মেসোপটেমিয়া ও মিশরবাসীরা গৃহপালিত পশুতে পরিণত হয়েছিল। সেই সময় থেকেই গাধা মূলত মাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন ও মধ্য যুগে এই গাধা যুদ্ধের মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত হতো।

এদের উচ্চতা ৩১ থেকে ৬৩ ইঞ্চি এবং ওজন ৮০ থেকে ৪৮০ কেজি পর্যন্ত হয়। সাধারণত বন্য গাধা ৩০-৫০ বৎসর বাঁচে। ভারবাহী গাধা ১২-১৫ বৎসরের বেশি বাঁচে না। ১২ মাস গর্ভধারণের পর একটি স্ত্রী-গাধা একটি শাবক প্রসব করে।  কদাচিৎ জমজ বাচ্চা হয়।

এই উপগণের চারটি প্রজাতি আছে। এই প্রজাতি চারটি হলো-
ডাঙ্কি Equus africanus asinus
সোমালিয়ার বন্য গাধা Equus africanus somalicus
নুবিয়ান বন্য গাধা Equus africanus africanus
এ্যাটলাশ বন্য গাধা Equus africanus atlanticus
ডাঙ্কি Equus africanus asinus
 

Equus africanus asinus

ইংরেজিতে একে donkey বলা হয়। এদের গড় দৈর্ঘ্য ২ মিটার, ঘাড়ের কাছের উচ্চতা ১.২৫ থেকে ১.৪৫ মিটার এবং ওজন ২৫০ থেকে ২৭৫ কেজি। এদের গায়ের রঙ ধূসর থেকে কালচে ধূসর। এরা মূলত আফ্রিকার মরুভাবাপন্ন এলাকায় বসবাস করে। এই কারণে দীর্ঘদিন পানি ছাড়াই বাঁচতে পারে। এদের প্রধান খাদ্য ঘাষ। তবে নিচু গাছের ডাল

পালা, ঝোপ ঝাড়ের সবুজাংশ আহার করে। খাদ্যের জন্য এরা বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে বেড়ায়। এরা একাকী বা দলবদ্ধভাবে বিচরণ করে। এদের একটি দলে সর্বোচ্চ ৫০টি পর্যন্ত গাধা দেখা যায়। সাধারণত বন্য গাধা ৩০-৫০ বৎসর বাঁচে। ভারবাহী গাধা ১২-১৫ বৎসরের বেশি বাঁচে না। ১২ মাস গর্ভধারণের পর একটি স্ত্রী-গাধা একটি শাবক প্রসব করে। কদাচিৎ জমজ বাচ্চা হয়।

 

Equus africanus somaliensis

সোমালিয়ার বন্য গাধা Equus africanus somaliensis
এই গাধা আফ্রিকার ইরিত্রেয়ার দক্ষিণ লোহিত সাগরের তীরবর্তী অঞ্চল এবং ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলে পাওয়া যায়। সম্ভবত এখনো সোমালিয়াতে এই প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। এই প্রজাতির ৭০০ থেকে ১০০০টি গাধা এই দেশগুলোতে আছে। এই কারণে এই গাধাকে বিপন্ন প্রাণীর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

 

এই গাধার প্রধান বৈশিষ্ট্য এদের গায়ের রঙ ধূসর এবং পায়ে জেব্রার মতো ডোরাকাটা দাগ আছে।

 

এ্যাটলাশ বন্য গাধা Equus africanus atlanticus
এই গাধা আফ্রিকার কোথাও পাওয়া যায় না। এর অপর নাম ছিল আলজেরীয় বন্য গাধা। এই খ্রিষ্টীয় ৩০০ অব্দের দিকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। রোমানদের গাধা শিকারের খেলার সূত্রে এই গাধা নিধন হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। মরক্কো এবং আলজেরিয়াতে এর বেশ কিছু জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।

নাবিয়ান বন্য গাধা Equus africanus africanus

এই গাধার অপর নাম নুবিয়ান বন্য গাধা। অনেকে মনে করেন এটি গৃহপালিত গাধার পূর্ব-পুরষ। প্রায় ৫-৬ হাজার বৎসর আগে এই গাধা মিশর ও মেসেপটেমিয়ায় ব্যবহার করা হতো।

এই গাধার গায়ের রঙ বিভিন্ন ধরনের হয়। এদের কাঁধে ডোরাকাটা দাগ আছে। এদের কাঁধ বরাবর উচ্চতা প্রায় ১৩০ সেন্টিমিটার। এরা অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু। তীব্র রোদের ভিতর খাবার সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। এক্ষেত্রে এরা কোন গাছের ছায়ায় কখনই আশ্রয় নেয় না। এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য