বলয়-লেজা লেমুর (Ring-tailed Lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

লেমুর গণের অন্তর্গত একমাত্র প্রজাতি। এর বৈজ্ঞানিক নাম- Lemur catta

Kingdom (রাজ্য)

  : Animalia

Phylum (পর্ব)

  : Chordata

Class (শ্রেণী)

  : Mammalia

Subclass (উপশ্রেণী) 

  : Theria

Infraclass (ক্ষুদ্রশ্রেণী)

  : Eutheria

Order (বর্গ) 

  : Primates

Suborder (উপবর্গ)

  : Strepsirrhini

Infraorder (ক্ষুদ্রবর্গ)

  : Lemuriformes

  family (গোত্র) 

  : Lemuridae

subfamily (উপগোত্র)

  : Lemurinae   

Genus (গণ)   

  : Lemur

Species (প্রজাতি)

  : catta

অন্যান্য লেমুরের মতো এই লেমুরও পাওয়া যায় মাদাগাস্কারে। এদের লেজে বড় বড় সাদা-কালো বলয় রয়েছে বলে এর সাধারণ নাম বলয়-লেজা লেমুর।

এই প্রজাতিটি আকারে বেশ বড়। এদের দৈর্ঘ্য ৪৬ সেন্টিমিটার (১৮ ইঞ্চি। ওজন ৫.৫ কিলোগ্রাম (১২ পাউন্ড)। লেজের দৈর্ঘ্য ৫৬ সেন্টিমিটার (২২ ইঞ্চি)। এদের দেহের উপরের অংশ ধূসর এবং পেটের দিকে সাদাটে ধূসর। এছাড়া, কান ও কপালের সাদাটে পশম রয়েছে। যদিও এরা বেশিরভাগ সময় গাছে গাছেই থাকে, কিন্তু মাটিতেও এরা স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে। সাধারণত এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। প্রতিটি দলে ৫-৩০টি সদস্য থাকতে পারে। এই লেমুর পরিবারে নেতৃত্ব দেয় কোন শক্তিশালী পুরুষ লেমুর। এপ্রিল-জুন মাসের দিকে এরা যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করে এবং ৪-৪.৫ মাস গর্ভধারণের পর একটি বা দুটি সন্তানের জন্ম দেয়। এদের গড় আয়ু ৩৩ বৎসর। এরা গাছের পাতা, ফুল, ফল, বাকল, গাছের রস এবং কখনো কখনো পতঙ্গ খায়। খাদ্য হিসাবে এদের হত্যা করে- মানুষ (আফ্রিকার স্থানীয় অধিবাসী), কুকুর এবং অন্যান্য নিশাচর মাংশাসী প্রাণী।


কৃষ্ণ লেমুর (Black lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

Kingdom (রাজ্য)

  : Animalia

Phylum (পর্ব)

  : Chordata

Class (শ্রেণী)

  : Mammalia

Subclass (উপশ্রেণী) 

  : Theria

Infraclass (ক্ষুদ্রশ্রেণী)

  : Eutheria

Order (বর্গ) 

  : Primates

Suborder (উপবর্গ)

  Strepsirrhini

Infraorder (ক্ষুদ্রবর্গ)

  : Lemuriformes

  family (গোত্র) 

  : Lemuridae

subfamily (উপগোত্র)

  : Lemurinae   

Genus (গণ)   

  : Eulemur

Species (প্রজাতি)

  : macaco

Eulemur গণের একটি প্রজাতি। এর গায়ের রঙ কালো, এই কারণে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। সাধারণ ভাবে এর বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur macaco। ১৭৬৬ সালে এই প্রজাতির নামকরণ করেছিলেন, পর্তুগিজ বিজ্ঞানী Carolus Linnaeus। যায়। এদের দুটি উপ-প্রজাতি আছে। এই উপ-প্রজাতি দুটি হলো-

 সাধারণ কালো লেমুর (Black lemur): Eulemur macaco macaco
 
নীলাক্ষী কৃষ্ণ লেমুর  (Blue-eyed Black Lemur):     Eulemur macaco flavifrons

উভয় উপ-প্রজাতির আকার আচরণ এবং গায়ের রঙ প্রায় একই। এদের দেহের দৈর্ঘ্য ৪১ সেন্টিমিটার এবং লেজের দৈর্ঘ্য ৫৫ সেন্টিমিটার। এর ওজন প্রায় ২.৫ কেজি। এদের পুরুষদের পিঠের দিক এত ঘন বাদামী যে, দূর থেকে কালো মনে হয়। স্ত্রী-লেমুরদের পিঠ ও মাথার রঙ পিঙ্গল। এদের পেটের দিকে রয়েছে সোনালী-বাদামী রঙ। সাধারণ কৃষ্ণ লেমুরের চোখের রঙ হলাদ-কমলা বর্ণের। কিন্তু নীলাক্ষী কৃষ্ণ লেমুরের চোখের রঙ নীলাভ। এরা গাছের পাতা, ফল, ফুল আহার করে।


বাদামী লেমুর (Brown lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

Kingdom (রাজ্য)

  : Animalia

Phylum (পর্ব)

  : Chordata

Class (শ্রেণী)

  : Mammalia

Subclass (উপশ্রেণী) 

  : Theria

Infraclass (ক্ষুদ্রশ্রেণী)

  : Eutheria

Order (বর্গ) 

  : Primates

Suborder (উপবর্গ)

  Strepsirrhini

Infraorder (ক্ষুদ্রবর্গ)

  : Lemuriformes

  family (গোত্র) 

  : Lemuridae

subfamily (উপগোত্র)

  : Lemurinae   

Genus (গণ)   

  : Eulemur

Species (প্রজাতি)

  : fulvus

Eulemur গণের একটি প্রজাতি। ১৯৮৮ সালে এই প্রজাতির নামকরণ করেছিলেন Fleagle, J. G. । গোড়ার দিকে এই প্রজাতির একটি প্রকরণকে Eulemur fulvus হিসাবে নামকরণকরণ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময় দেখা যায় যে- আরও এমন কিছু লেমুর আছে, যেগুলোর সাথে বাদামী লেমুরের একমাত্র পার্থক্যের পার্থক্য রঙের। এই বিচারে বর্তমানে ওই সকল লেমুরকে fulvus প্রজাতির ভিতরেই ফেলা হয়েছে। তবে রঙ-পার্থক্যের বিচারে অন্যান্য লেমুরগুলোকে fulvus এর উপ-প্রজাতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এর যে উপ-প্রজাতির বিভাজন পাওয়া যায়, তা হলো- 

বাদামী লেমুর      Brown lemur ( Eulemur fulvus fulvus )
শ্বেতকণ্ঠী লেমুর  White-Collared lemur ( Eulemur fulvus albocollaris)
শ্বেতমুণ্ড লেমুর      White-headed lemur ( Eulemur fulvus albifrons )
লাল-সম্মুখ লেমুর   Red-fronted lemur ( Eulemur fulvus rufus )
স্যাফোর্ডের লেমুর  Sanford's lemur ( Eulemur fulvus sanfordi)

সাধারণত পিঠের রঙ বাদামী, পেটের রঙ ধূসর সাদা। তবে মাথা, মুখ ইত্যাদির রঙের পার্থক্যের কারণে এর উপ-প্রজাতি শনাক্ত করা হয়। এদের দৈর্ঘ্য ১০০০ মিলিমিটার, ওজন ২-২.৫ কেজি। মোটামুটি ভাবে আকারের দিক থেকে গৃহপালিত বিড়ালের মতো। অন্যান্য লেমুরের মতো এদেরও আছে দীর্ঘ লেজ। এরা গাছের পাতা, শাখা, ফুল, ফল এবং পতঙ্গ আহার করে থাকে। এরা ৪-২০ সদস্যের দল নিয়ে বিচরণ করে। ১২০ দিন গর্ভধারণের পর একটি বা দুটি বাচ্চা প্রসব করে। ৩ মাস পর্যন্ত এরা মায়ের দুধ খায়, পরে এরা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্থ হয়ে ওঠে। এরা সাধারণত জঙ্গুলে এলাকায় গাছে গাছে লাফিয়ে চলে। তবে, মাটিতে এরা চার পায়ে হাঁটে। এর দলের সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, সতর্ক বার্তা পাঠানোর জন্য, যৌনাবেদনের জন্য বিভিন্ন ধরণের শব্দ করে থাকে।

  উপ-প্রজাতি : বাদামী লেমুর  Brown lemur
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

সাধারণভাবে বাদামী লেমুর হিসাবে যে প্রজাতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সেই fulvus প্রজাতিকেই, এর উপ প্রজাতি বিবেচনা করা হয়। এই কারণে এর বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur fulvus fulvus। ১৭৯৬ সালে এর নামকরণ করেন- É. Geoffroy Saint-Hilaire


উপ-প্রজাতি : লাল-কণ্ঠী লেমুর  (Red-collared lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

বাদামী লেমুরের উপ-প্রজাতি বিশেষ এর বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur fulvus collaris ।  ১৭৯৬ সালে এর নামকরণ করেন ফরাসী বিজ্ঞানী জিওফ্রয় (Étienne Geoffroy Saint-Hilaire)। এর মুখমণ্ডলের সম্মুখভাগের রঙ কালচে, কিন্তু গলার দিকের রং লালচে।


উপ-প্রজাতি : লাল-সম্মুখ লেমুর  (Red-Fronted lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

বাদামী লেমুরের উপ-প্রজাতি বিশেষ এর বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur fulvus rufus । এর মুখমণ্ডলের সম্মুখভাগের রঙ লাল দেখায়। এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বাদামী লেমুরের বৈশিষ্ট্যর মতো।  ১৭৯৬ সালে এর নামকরণ করেন ফরাসী বিজ্ঞানী জিওফ্রয় (Étienne Geoffroy Saint-Hilaire)। পূর্ব মাদাগাস্কারের জঙ্গলে এদের দেখা যায়।


উপ-প্রজাতি : শ্বেতকণ্ঠী লেমুর  (white-Collared lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

fulvus প্রজাতির লেমুরের উপ-প্রজাতি বিশেষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur fulvus albocollaris।  ১৭৯৬ সালে এর নামকরণ করেন ফরাসী বিজ্ঞানী জিওফ্রয় (Étienne Geoffroy Saint-Hilaire)। পূর্ব মাদাগাস্কারের জঙ্গলে এদের দেখা যায়।

এদের পিঠের দিকের রঙ ধূসর-বাদামী, কিন্তু পেটের দিকের রঙ হাল্কা বাদামী। কালো মুখমণ্ডলের দুইপাশ ঘিরে রয়েছে সাদা পশমের আবরণ। দেখে মনে হয় সাদা মাফলার জড়ানো।


শ্বেতমুণ্ড লেমুর  (white-headed lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

f
ulvus প্রজাতির লেমুরের উপ-প্রজাতি বিশেষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur fulvus albifrons। এই লেমুরকে কোন কোন ক্ষেত্রে সম্মুখ-সাদা লেমুর (White-fronted Lemur) নামে অভিহিত করা হয়। ১৭৯৬ সালে এর নামকরণ করেন ফরাসী বিজ্ঞানী জিওফ্রয় (Étienne Geoffroy Saint-Hilaire)। পূর্ব মাদাগাস্কারের জঙ্গলে এদের দেখা যায়।

এদের পিঠের দিকের রঙ গাঢ় বাদামী, কিন্তু পেটের দিকের রঙ হাল্কা বাদামী। কালো মুখমণ্ডল ঘিরে রয়েছে সাদা পশমের আবরণ। এই কারণে একে শ্বেতমুণ্ড লেমুর বলা হয়।


স্যানফোর্ড লেমুর  (Sanford's lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

fulvus প্রজাতির লেমুরের উপ-প্রজাতি বিশেষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur fulvus sanfordi। ১৭৯৬ সালে এর নামকরণ করেন ফরাসী বিজ্ঞানী জিওফ্রয় (Étienne Geoffroy Saint-Hilaire)।

এদের রয়েছে দীর্ঘ ফোলানো লেজ। স্ত্রী-লেমুরের গায়ের রঙ ঘন লালচে-বাদামী, কিন্তু পুরুষ-লেমুরের রঙ ধূসর-বাদামী। পুরুষ লেমুরের মুখে ক্রিম-ধূসর বর্ণের দাড়ি দেখা যায়। পুরুষ-লেমুরের মুখমণ্ডল কালো, কিন্তু স্ত্রী-লেমুরের মুখমণ্ডল ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। 


ধূসর-মুণ্ড লেমুর (gray-headed lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

Eulemur
গণের একটি প্রজাতি। ১৮৯০ সালে এই প্রজাতির নামকরণ করেছিলেন  A. Grandidier এবং Milne-Edwards। এর বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur cinereiceps। এই প্রজাতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় নাই।


মঙ্গুজ লেমুর (mongoose lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur mongoz

Kingdom (রাজ্য)

  : Animalia

Phylum (পর্ব)

  : Chordata

Class (শ্রেণী)

  : Mammalia

Subclass (উপশ্রেণী) 

  : Theria

Infraclass (ক্ষুদ্রশ্রেণী)

  : Eutheria

Order (বর্গ) 

  : Primates

Suborder (উপবর্গ)

  Strepsirrhini

Infraorder (ক্ষুদ্রবর্গ)

  : Lemuriformes

  family (গোত্র) 

  : Lemuridae

subfamily (উপগোত্র)

  : Lemurinae   

Genus (গণ)   

  : Eulemur

Species (প্রজাতি)

  : mongoz

১৭৬৬ সালে এর নামকরণ করেন লিনিয়াস। মাদাগাস্কার এবং কমোরোস দ্বীপে এদের দেখা যায়।

এদের দৈর্ঘ্য ১২-১৮ ইঞ্চি, দৈর্ঘ্য ১৬-২৫ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ১.২৫ কেজি। এদের গায়ের উপরের দিকে রঙ ধূসর/বাদামী, পেটের দিকে ফিকে ধূসের। নাকের রঙ কালো,কিন্তু এর উপরিভাগ সাদা। এর গালের দুই পাশের রঙ বাদামী। গায়ের রঙের ক্ষেত্রে স্ত্রীপুরুষে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। চোখের রঙ কমলা-লাল।   এরা গাছের পাতা, ফল, ফুল ইত্যাদি আহার করে থাকে।


মুকুট লেমুর (crowned lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

Kingdom (রাজ্য)

  : Animalia

Phylum (পর্ব)

  : Chordata

Class (শ্রেণী)

  : Mammalia

Subclass (উপশ্রেণী) 

  : Theria

Infraclass (ক্ষুদ্রশ্রেণী)

  : Eutheria

Order (বর্গ) 

  : Primates

Suborder (উপবর্গ)

  : Strepsirrhini

Infraorder (ক্ষুদ্রবর্গ)

  : Lemuriformes

  family (গোত্র) 

  : Lemuridae

subfamily (উপগোত্র)

  : Lemurinae   

Genus (গণ)   

  : Eulemur

Species (প্রজাতি)

  : coronatus

এদের মাথার পশম দেখতে অনেকটা মুকুটের মতো দেখায় বলে- এর প্রচলিত নাম- মুকুট-লেমুর। বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur coronatus। ১৮৪২ সালে এর নামকরণ করেছিলেন ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী (John Edward Gray)

এদের দেহের রঙ বাদামী তবে লেজের রঙ ঘন ধূসর। নাকের রঙ কালো। এর মাদাগাস্কারের উত্তরাঞ্চলে এদের দেখা যায়। এদের আকার অনেকটা গৃহপালিত বিড়ালের মতো। শরীরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪ সেন্টিমিটার এবং লেজের দৈর্ঘ্য ৪৫ সেন্টিমিটার। হাতের চেয়ে পা বেশ বড়। তবে এরা চার পায়েই হাঁটে। অন্যান্য লেমুরের মতোই এদের রয়েছে দীর্ঘ ফোলানো লেজ।

 এর মূলত দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।  এদের প্রতিটি দলে ৫-১৫ টি সদস্য থাকে। এদের প্রধান খাদ্য ফল, ফুল, পাতা। ১২৫ দিন গর্ভধারণের পর ১টি বা দুটি বাচ্চা প্রসব করে। প্রায় ৩ সপ্তাহ মায়ের পেটের সাথে মা লেমুর বাচ্চা বহন করে। পরে ৫-৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে পিঠে বহন করে এবং পরিচর্যা করে। এদের গড় আয়ু ৩৬ বৎসর।


লাল-পেট লেমুর (red-bellied lemur)
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| লেমুর | প্রাইমেট | স্তন্যপায়ী | মেরুদণ্ডী | কর্ডাটা | প্রাণী | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

Kingdom (রাজ্য)

  : Animalia

Phylum (পর্ব)

  : Chordata

Class (শ্রেণী)

  : Mammalia

Subclass (উপশ্রেণী) 

  : Theria

Infraclass (ক্ষুদ্রশ্রেণী)

  : Eutheria

Order (বর্গ) 

  : Primates

Suborder (উপবর্গ)

  : Strepsirrhini

Infraorder (ক্ষুদ্রবর্গ)

  : Lemuriformes

  family (গোত্র) 

  : Lemuridae

subfamily (উপগোত্র)

  : Lemurinae   

Genus (গণ)   

  : Eulemur

Species (প্রজাতি)

  : rubrivente

বৈজ্ঞানিক নাম- Eulemur rubriventer। ১৮৫০ সালে এর নামকরণ করেছিলেন I. Geoffroy । মাদাগাস্কারের উত্তরাঞ্চলীয় রেইনফরেস্ট অঞ্চলে এদের দেখা যায়। এদের গায়ের রঙ লালচে বাদামী। তবে স্ত্রী-লেমুরের পেটের দিক সাদাটে হয়ে থাকে। এদের লেজ কালো, চোখের পাশে সাদা আভা দেখা যায়।

এদের দৈর্ঘ্য ৩২-৪২ সেন্টিমিটার, লেজের দৈর্ঘ্য ৪৬-৫৪ সেন্টিমিটার। এদের ওজন ২-৩ কেজি। এর আকার প্রায় গৃহপালিত বিড়ালের মতো। এরা ১২৭ দিন গর্ভাধারণের পর একটি বা দুটি সন্তান প্রসব করে। পুরুষ এবং স্ত্রী উভয় মিলেই বাচ্চার যত্ন নেয়। ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত স্ত্রী-লেমুর সন্তানকে যত্ন নেওয়ার পর, পরিত্যাগ করে। এই সময় পুরুষ লেমুর ১০০ দিন পর্যন্ত বাচ্চা প্রতিপালন করে। এরপর বাচ্চা স্বাবলম্বী হয়ে উঠে। এদের গড় আয়ু ২২ বৎসর।

এরা মূলত সামাজিক জীব। এদের এক একটি দলে ৫ বা ততোধিক সদস্য থাকে। তবে একাকী বসবাস করে এমন লেমুরও দেখা যায়। দলের স্ত্রী লেমুর আধিপত্য বিস্তার করে থাকে। এরা প্রায় ৬৭টি গাছের পাতা, ফল, ফুল আহার হিসাবে গ্রহণ করে।