রাগ-বিবোধ
সোমেশ্বর করতৃক রচিত সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্থ।
ধারণা করা হয় ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে সোমনাথ এই গ্রন্থটি রচনা
করেছিলেন।মূল গ্রন্থটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
এই গ্রন্থে গীতকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগ দুটি হলো-
মার্গ ও দেশী। এর ভিতরে মার্গ-সঙ্গীত বিরিঞ্চ এবং অন্যান্য দেবতাদের দ্বারা গবেষিত
সঙ্গীত। সামবেদ থেকে উদ্ধারকৃত সপ্তসুরের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং এই গান ভরত ও
অন্যান্য ঋষিরা মহাদেবের সামনে পরিবেশন করেছিলেন। পক্ষান্তরে দেশী গীত হলো- ভারতের
বিভিন্ন অঞ্চলে লোকরঞ্জনের জন্য প্রচলিত গীত। [৬-৭]। এই গ্রন্থের ৩৫ সংখ্যক শ্লোকে
বলা হয়েছে- দেশী গীতে শ্রুতি, স্বর, গ্রাম ও জাতি অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
মার্গ সঙ্গীতের পরে এই গ্রন্থে নাদ, শ্রুতি, স্বর, গ্রাম,
মূর্চ্ছনা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। শ্রুতি বিন্যাসরে সাথে অন্যান্য গ্রন্থের পার্থক্য
দৃষ্ট হয়। এই গ্রন্থে ৭টি বিকৃত স্বরের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো গান্ধার,
সাধারণ গান্ধার, অন্তর গান্ধার, মধ্যম, নিষাদ, কৈশিকী নিষাদ, কাকলি নিষাদ।
তথ্যসূত্র:
রাগ-বিবোধ। পণ্ডিত হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন কর্তৃক অনুবাদিত।
সঙ্গীত প্রকাশিকা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সম্পাদিত মাসিক পত্রিকা। ১৩০৮-০৯ বঙ্গাব্দ।