ম্যাগনেশিয়াম
ইংরেজি:
Magnesium।
এটি একটি
রাসায়নিক ধাতব মৌলিক পদার্থ। এটি সাদা বর্ণের ধাতু। এর রাসায়নিক সঙ্কেত
Ma।
গ্রিক Νάτριο
থেকে এই সঙ্কেতটি গ্রহণ করা হয়েছে। এর পারমাণবিক সংখ্যা ১২। আপেক্ষিক গুরুত্ব
১.৭৫।
এর গলনাঙ্ক ৬৫০.৭৯৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্ফুটনাঙ্ক ১০৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গলাঙ্কের
সামান্য নিম্নসীমায় এর ঘাতসহ এবং নমনীয় গুণ লক্ষ্য করা যায়।
প্রকৃতিতে ম্যাগনেশিয়াম মৌলিক অবস্থায় পাওয়া যায়। মূলত বেশকিছু ম্যাগনেশিয়াম ঘটিত যৌগিক
পদার্থ থেকে ম্যাগনেশিয়াম সংগ্রহ করা হয়। প্রকৃতি যে সকল ম্যাগনেশিয়াম যৌগ বেশি পাওয়া যায়,
তাহলো- ম্যাগনেসাইট (MgCO3),
ডলোমাইট
(CaCO3,
MgCO3),
কাইসেরাইট
(MgSO4,
H2O),
কাইনাইট
(KClMgCO3,
3H2O),
এপসোমাইট
(MgSO4,
7H2O),
পলিহেলাইট
(MgSO4,
K2SO4,
2CaSO4,2H2O),
কার্নালাইট
(KClMgCl2,
6H2O),
এ্যাসবেটস (CaMg3,SiO3),
অলিভাইন (Mg2,Si2O4)
ইত্যাদি।
ম্যাগনেশিয়াম অত্যন্ত সক্রিয় ধাতু। ম্যাগনেলিয়াম, ইলেক্ট্রন মেটাল, ডুরালুমিন সংকর
ধাতু তৈরিতে এই ধাতু ব্যব্হার করা হয়।আতসবাজিতে ম্যাগনেশিয়াম ব্যবহার করা হয়।
প্রাচীনকাল থেকে মেগনিশিয়াম ঘটিত ঔষধের ব্যবহার ছিল। ১৬১৮ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যণ্ডের
ইপসম নামক একটি স্থানে একটি ঝর্না আবিষ্কার করেন এইচ উয়িকার। এই ঝর্নার জল থেকে
কটুস্বাদযুক্ত একটি লবণ আবিষ্কার হয় ১৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে। এই লবণটি ছিল ম্যাগনেশিয়াম
সালফেট। পরে চিকিৎসকরা এই লবণটিকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য
পরে কৃত্রিম উপায়ে এই লবণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে তড়িৎ
বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে ম্যাগনেশিয়াম সালফেট থেকে ম্যাগনেশিয়াম পৃথক করতে সক্ষম হন। তবে
এই ম্যাগনেশিয়াম যথেষ্ট শুদ্ধ ছিল না। ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসি রসায়নবিদ এ. বুসি
পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ম্যাগনেশিয়াম তৈরি করতে সক্ষম হন।