উৎস অনুসারে এসিডের বিভাজন এ্যাসিডের যৌগ-উৎস জৈব কি অজৈব, সেই এ্যাসিডকে দুটি ভাগ ভাগ করা হয়। ভাগ দুটি হলো- |
||
ক। অজৈব বা খনিজ এ্যাসিড। যেমন- হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিড, সালফিউরিক
এ্যাসিড ইত্যাদি। খ। জৈব এ্যাসিড। যেমন-ফরমিক এ্যাসিড, অক্সালিক এ্যাসিড ইত্যাদি। |
||
গঠন অনুসারে এ্যাসিডের বিভাজন গঠনগত উপাদান অনুসারে এ্যাসিডকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটি হলো- |
||
ক। হাইড্রোসিড : হাইড্রোজেন এবং একাধিক অধাতব মৌলের সমন্বয়ে এই
এ্যাসিডগুলি গঠিত হয়ে থাকে। যেমন- হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিড খ। অক্সি-এ্যাসিড : হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং একাধিক অধাতব মৌলের সমন্বয়ে এই এ্যাসিডগুলি গঠিত হয়ে থাকে। যেমন- সালফিউরিক এ্যাসিড। |
||
গঠন অনুসারে এ্যাসিডের বিভাজন এ্যাসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেনের পরমাণু সংখ্যা দ্বারা এ্যাসিডের ক্ষারকত্ব নিরূপিত হয়। সেই হিসাবে ক্ষারকত্বের বিচারে এ্যাসিডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। ভাগগুলি হলো- |
||
ক। এক-ক্ষারকীয় এ্যাসিড : এই জাতীয় এ্যাসিডে একটি প্রতিস্থাপনীয়
হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। যেমন- হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিড। খ। দ্বি-ক্ষারকীয় এ্যাসিড : এই জাতীয় এ্যাসিডে দুটি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। যেমন- সালফিউরিক এ্যাসিড। গ। ত্রি-ক্ষারকীয় এ্যাসিড : এই জাতীয় এ্যাসিডে তিনটি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। যেমন- সাইট্রিক এ্যাসিড। |
||
শক্তির ভিত্তিতে এ্যাসিডের বিভাজন এ্যাসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন উত্পন্ন করে। সকল প্রকার এ্যাসিডের হাইড্রোজেন আয়ন উত্পন্ন করার ক্ষমতা এক প্রকার নয়। এই ক্ষমতাকে এ্যাসিডের শক্তি বলে। শক্তির বিচারে এ্যাসিড দুই প্রকার। প্রকার দুটি হলো- |
||
ক। তীব্র এ্যাসিড : যে সকল এ্যাসিড সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন
আয়ন উত্পন্ন করে। যেমন :- হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিড। খ। মৃদু এ্যাসিড : যে সকল এ্যাসিড সামান্য বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন উত্পন্ন করে। যেমন :- কার্বনিক এ্যাসিড। |