অক্সাইড
ইংরেজি
Oxide>বাংলা
অক্সাইড।
কোন মৌলের
সাথে অক্সিজেন যুক্ত হয়ে দ্বি-মৌল
যৌগ উৎপন্ন করলে,
উক্ত যৌগ
'অক্সাইড'
নামে চিহ্নিত হয়ে থাকে।
রসায়ন বিজ্ঞানে এটি যৌগমূলক হিসাবে বিবেচিত হয়।
যেমন : কার্বন ডাই-অক্সাইড,
ক্যালসিয়াম অক্সাইড ইত্যাদি।
অক্সিজেন যে মৌলিক পদার্থের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড উৎপন্ন করে,
সেই মৌলিক পদার্থের নামেই অক্সাইডের
নামকরণ করা হয়।
অক্সাইডের শ্রেণীবিভাগ : অক্সাইডগুলিকে মোট নয়টি ভাগে ভাগ করা হয়।
ভাগগুলি হলো-
১. অম্লীয় অক্সাইড (Acidic Oxide) : সাধারণত অধাতু মৌলের অক্সাইডকে অম্লীয় অক্সাইড বলে। এই জাতীয় অক্সাইডের জলীয় দ্রবণ- নীল লিটমাসকে লাল করে এবং ক্ষার বা ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ উৎপন্ন করে। এ ছাড়া পানির সাথে বিক্রিয়া করে কখনো একটি বা দুটি এ্যাসিড উৎপন্ন করে। কোনো কোনো ধাতব অক্সাইড এ্যাসিডধর্মী হয়। এই সকল অক্সাইডের সাথে পানির বিক্রিয়ায় এ্যাসিড এবং ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ উৎপন্ন করে। যেমন-
বেসিক
অক্সাইড
ক্ষারক |
|
২. ক্ষারকীয় অক্সাইড (Basic Oxide) : সাধারণত ধাতুর মৌলগুলি অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে যে সকল অক্সাইড উৎপন্ন করে, সেগুলিকেই ক্ষারকীয় অক্সাইড বলে। এই জাতীয় অক্সাইড এ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। |
|
৩. প্রসম অক্সাইড (Neutral Oxide) : যে সকল অক্সাইড এ্যাসিড বা ক্ষার কোনোটির সাথেই বিক্রিয়া করে না, তাদেরকে প্রশম অক্সাইড বলে। এই প্রশম অক্সাইড অধিক পরিমাণে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে একটি উচ্চতর এ্যাসিড তৈরী করে।
৭. পারক্সাইড (Peroxides) : যে সমস্ত অক্সাইড লঘু এ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন পারক্সাইড উৎপন্ন করে, সেগুলিকে পারক্সাইড বলে।
|