এ্যামিন
Ammonia>ইংরেজি
amine>বাংলা
এ্যামিন।
এটি
একটি রাসায়নিক গ্রুপ। এ্যামোনিয়া (Ammonia,
NH3)-এর হাইড্রোজেন জৈব-মূলক দ্বারা
প্রতিস্থাপিত হলে- এ্যামিন তৈরি হয়। প্রতিস্থাপিত হাইড্রোজেন সংখ্যার উপর নির্ভর
করে এ্যামিন-কে প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারসিয়ারি- এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।
এ্যামিনের শ্রেণিবিভাগ
- গাঠনিক দিক থেকে এ্যামিনকে তিনটি ভাগে
ভাগ করা হয়। এই ভাগ তিনটি হলো―
- এ্যালিফেটিক
এ্যামিন বা এ্যালকাইল এ্যামিন: এ্যামোনিয়ার হাইড্রোজেন পরমাণু
কোনো এ্যালকাইল মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে, তাকে
এ্যালিফেটিক এ্যামিন বলা হয়। যেমন মিথাইল এ্যামিল।
- এ্যারোমেটিক এ্যামিন বা এ্যারাইল
এ্যামিন: এ্যমোনিয়ার হাইড্রোজেন ফিনাইল মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে, তাকে
এ্যারোমেটিক এ্যামিন বলা হয়। যেমন ফিনাইল এ্যামিন।
- সাইক্লিক বা চাক্রিক এ্যামিন:
- এ্যামোনিয়া প্রতিস্থাপকের বিচারে
এ্যামিন চার প্রকার। এই ভাগ চারটি হলো―
- প্রাইমারী
(1°)
এ্যামিন: এ্যামোনিয়ার ১টি হাইড্রোজেন প্রতিস্থাপিত হলে, তাকে প্রাইমারি
এ্যামিন বলে। যেমন মিথাইল এ্যামিন।
- সেকেন্ডারি
(2°)
এ্যামিন: এ্যামোনিয়ার ২টি হাইড্রোজেন প্রতিস্থাপিত হলে, তাকে প্রাইমারি
এ্যামিন বলে।যেমন ডাই মিথাইল এ্যামিন।
- টারসিয়ারি
(3°)
এ্যামিন: এ্যামোনিয়ার ৩টি হাইড্রোজেন প্রতিস্থাপিত হলে, তাকে প্রাইমারি
এ্যামিন বলে। যেমন ট্রাই এ্যামিন।
- কোয়ার্টারি
লবণ: টারসিয়ারি এ্যামিনের নাইট্রোজেন পরমাণুর নিঃসঙ্গ ইলেক্ট্রন-যুগলের
মাধ্যমে আর একটি এ্যালকাইল ক্যাটায়ন নাইট্রোজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে যে
যৌগ তৈরি করে, তাকে কোয়ার্টারনারি লবণ বলে। যেমন ট্রাইমিথাইল ইথাইল
এ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড।
- এ্যামিনো মূলকের (
-NH2)
সংখ্যার বিচারে এ্যামিন ৩ প্রকার হয়ে থাকে। প্রকার ৩টি হলো―
- মনো এ্যামিন: ১টি
এ্যামিনো মূলক থাকলে
- ডাই এ্যামিন: ২টি
এ্যামিনো মূলক থাকলে।
- পলি এ্যামিন:
দুইয়ের অধিক এ্যামিনো মূলক থাকলে।