আর্সেনিক
ইংরেজি :
Arsenic
এটি একটি বিষাক্ত আধা-ধাতব মৌলিক পদার্থ। রাসায়নিক গুণাগুণ বিচার করে দেখা গেছে এই
পদার্থটি ধাতব ও অধাতব পদার্থের মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে। এর প্রতীক
As,
পারমাণবিক সংখ্যা ৩৩, পারমাণবিক ওজন ৭৪.৯২১৬। আর্সেনিক ৬১৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড
(১১৩৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় কঠিন থেকে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। সাধারণত এর
রঙ ধূসর বর্ণের ধাতুধর্মীরূপে দেখা যায়। এর আপেক্ষিক গুরুত্ব ৫.৭। এর একটি হলুদ
বর্ণের অধাতবরূপ রয়েছে। এর আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.০।
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ বিভিন্নভাবে আর্সেনিকের সাথে পরিচিত। সাধারণত সাধারণ
তাপমাত্রায় আকরিক যে থেকে আর্সেনিক তৈরি করে থাকে, তাকে হয়
arsenopyrite (FeAsS)।
এছাড়া আর্সেনিক উৎপাদনের অন্যান্য আকরিকগুলো হলো-
ealgar, orpiment, arsenic trioxide।
এ ছাড়া মাঝে মাঝে বিশুদ্ধ আর্সেনিক প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।
নীলাভ কাচ তৈরির একটি উপাদান হিসাবে আর্সেনিক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পেনিসিলিন
আবিষ্কারের পূর্ব-সময় পর্যন্ত আর্সেনিক ব্যবহার করা হত- সিফিলিস রোগের চিকিৎসার
জন্য। চিকিৎসকরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সালফা ড্রাগের পরিবর্তে আর্সেনিকের ব্যবহার করে
থাকেন। কীটনাশক ঔষধ হিসাবে লেড আর্সেনেট, ক্যালসিয়াম আর্সেনেট এবং প্যারিস গ্রীন।
এর কিছু যৌগ-পদার্থ অর্ধ-পরিবাহী উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন-
gatllium
arsenide (GaAs) এই যৌগটি ল্যাসার
ম্যাটেরিয়াল হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। রংয়ের জন্য ব্যবহৃত এর অপর একটি যৌগ-
Arsenic disulphide।
কখনও কখনও সীসার সাথে আর্সেনিক মিশিয়ে সীসাকে শক্ত করা হয়। এছাড়া কিছু কিছু
ক্ষেত্রে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য বিষাক্ত গ্যাস তৈরিতে
আর্সেনিক ব্যবহার করা হয়।
আর্সেনিক-গ্যাস, আর্সেনিক-ধূলা ও পানির সাথে মিশ্রিত আর্সেনিক মানুষের শরীরের
ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে আর্সেনিক মিশ্রিত বিষাক্ত পানি একটি অন্যতম সমস্যা হয়ে
দাঁড়িয়েছে।
আর্সেনেট
ইংরেজি :
Arsenate
আর্সেনিকের একটি ঋণাত্মক আয়ন। আর্সেনেট আর্থো-আর্সেনিক অ্যাসিড থেকে উৎপন্ন হয়।