গিরিবজ্র
সংস্কৃত শব্দ উপল> ইংরেজিতে একে
Opal বলে। 
রাসায়নিক সূত্র : হাইড্রাইড সিলিকা
(Hydrated silica. SiO2·nH2O)

এটি একটি কোয়ার্টজ গ্রুপের রত্ন বিশেষ।এটি রত্ন গিরি গহ্বরে, উত্তপ্ত বালুকাস্তুপের মধ্যে পাওয়া যায়। সূর্যের প্রখর কিরণে বালুকাপুঞ্জ গলিত ধাতুর ন্যায় একত্রিত হয়ে জমাট বঁধে যায়। এরপর শৈত্যের প্রভাবে আরো কাঠন পদার্থে পরিণত হয়। এই অবস্থায় প্রাপ্ত পদার্থকে গিরিবজ্র নামে অভিহিত করা হয়। এই রত্নটি খুব ভঙ্গুর এবং বেশি তাপ সহ্য করতে পারে না।

এটি বর্ণ দুধের মতো সাদা, উজ্জ্বল ও আভাময়। স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ উভয় প্রকার গিরিবজ্র দেখা যায়। এছাড়া এতে বাদামী, লাল, হলুদ, সবুজ রঙের সন্নিবেশ থাকে। কালো ওপ্যালের বহির্ভাগ কালো, ঘন নীল, গাড় সবুজ বা ধূসর হয়। সই সাথে অন্য রঙের ফোটা দেখতে পাওয়া যায়।

এর উপাদান হাইড্রাস সিলিকন ডাইঅক্সাইড, কাঠিন্য ৫.৫০-৬.৫০, আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.৯৮-২.২০, প্রতিসরাঙ্ক : ১.৪৪-১.৪৬, বিচ্ছুরণ নাই।

অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ব্রাজিল, মেক্সিকো, লিবিয়া, হণ্ডুরাস প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে আছে- এটি তীব্র কামনা থেকে রক্ষা করে। রাশিচক্রে চন্দ্র ও শুক্র গ্রহের উপরত্ন হিসাবে খুবই ফলদায়ক। শত্রুদমন কাজে সফলতা, মানসিক শাস্তি, শরীর ও স্বাস্থ্যের বিশেষ সহায়ক।

সূত্র :
http://en.wikipedia.org/wiki/Opal


গোমেদ
ইংরেজি
Jacinth। হিন্দি গোমেদ>বাংলা গোমেদ।

একপ্রকার উজ্জ্বল লাল বর্ণের রত্ন বিশেষ। খাঁটি গামেদে জির্কোনিয়াম নামক- একটি ধাতু থাকে। এই ধাতুর নাম থেকেই ইংরেজি
Jacinth নামটি এসেছে। জির্কোনিয়ামের সাথে সিলিকন্ মিশে এই রত্নটি গঠিত হয়ে থাকে। কখনো কখনো হাফনিয়াম, থোরিয়াম, ইউরেনিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় ধাতু মিশে থাকে।

এটি লালচে, হলদে আভাযুক্ত, বেগুনী, জলপাই প্রভৃতি বর্ণের হয়ে থাকে। এর ভিতরে লালচে আভাযুক্ত গোমেদ স্বচ্ছ হয়ে থাকে। গোমেদ কষ্টি পাথরে ঘষলে দাগ পড়ে না বা ক্ষয় হয় না। এর কাঠিন্য : ৬.৫০ থেকে ৭.৫০। আপেক্ষিক গুরুত্ব : ৩.৯০-৪.৭১, প্রতিসরাঙ্ক : ১.৭৭৭-১.৯৮৭। বিচ্ছুরণ : ০.০৩৯।

অস্ট্রেলিয়া, চীন, থাইল্যাণ্ড, নরওয়ে, ভারত, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়।

জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে- রাহুর দৃষ্টি হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য- গামেদ ধারণ করতে হয়। এছাড়া- জাতক/জাতিকার কন্যারাশিতে, বৃশ্চিক লগ্নে বা জন্মরাশি বৃশিক হলে এই রত্ন ধারণ করতে হয়।

সূত্র :
http://en.wikipedia.org/wiki/Jacinth