ঈথার
ইংরেজি
Ether

ঊনবিংশ শতাব্দীর জ্যোতিষী ও পদার্থবিদগণ কল্পনা করতেন যে- ঈথার নামক একটি ভরহীন ও আদর্শ স্থিতিস্থাপক বস্তু সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে অবস্থান করছে। এই ধারণা দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত ছিল। কিন্তু ঈথারীয় মতবাদে সকল সমস্যার সমাধান না থাকায়- একটি বড় ধরণের গালমালের সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে আইনস্টাইন তাঁর দুটি স্বীকার্য প্রকাশ করেন। এর দ্বারা একই সাথে ঈথারের ধারণা বাতিল হয়ে যায় এবং আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা পায়।

রসায়নবিদ্যায় ঈথার একপ্রকার যৌগশ্রেণিকে বুঝায়। একটি দ্বিযোজী অক্সিজেন পরমাণুর সাথে দুটি এ্যালকাইলমূলক যুক্ত হয়ে যে সকল জৈব যৌগ উৎপন্ন করে, সে সকল যৌগসমূহকে শ্রেণিগত ভাবে ঈথার বলে। দুই অণু এ্যালকোহল মিলিত হলে এবং ওই মিলিত যৌগ থেকে এক অণু পানি নিরুদিত হলে–  একটি ঈথার উৎপন্ন হয়। এই কারণে অনেকে ঈথারকে ডাই-এ্যালকাইল অক্সাইড হিসাবে চিহ্নিত করে। এর সাধারণ সংকেত-
R-O-R। এর কার্যকরী মূলক হলো –O–।

ঈথারকে প্রাথমিকভাবে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো–