জৈব
রসায়ন
ইংরেজি
Organic
Chamestry।
রসায়ন শাস্ত্রের একটি ভাগ। রসায়ন শাস্ত্রের যে শাখায় জৈব তথা কার্বন-হাইড্রোজেন
গঠিত যৌগ পদার্থ এবং উক্ত পদার্থ থেকে উদ্ভুত যৌগসমূহের প্রস্তুতি,
ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার পর্যালোচনা এবং তাদের ব্যবহার সম্বন্ধে
আলোচনা
করা হয়,
তাদেরকে জৈব রসায়ন বলে। ১৬৭৫
খ্রিষ্টাব্দে
নিকোলাস লেমরি প্রাকৃতিক সকল পদার্থকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছিলেন। ভাগগুলি হলো–
খনিজ,
উদ্ভিজ ও প্রাণিজ। এরপর ল্যাঁভয়সিয়ে,
শীলে,
বিভিন্ন ধরনের প্রাণিজ পদার্থ নিয়ে গবেষণা করেন এবং বিভিন্ন জৈব পদার্থ অবিষ্কার
করেন। উদ্ভিজ ও প্রাণিজ সকল পদার্থে যৌগ হিসাবে কার্বন ও হাইড্রোজেন মৌল থাকায়
বিজ্ঞানী বার্জেলিয়াস এই সকল পদার্থকে জৈব যৌগ হিসাবে চিহ্নিত করেন। তৎকালীন
বিজ্ঞানীগণ পরীক্ষাগারে এই সকল জৈব পদার্থ উৎপাদনে অক্ষম হলে–
১৮১৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রস্তাব বার্জেলিয়াস করেন যে সকল উদ্ভিদজাত ও প্রাণিজাত পদার্থ
এক রহস্যময় প্রাণশক্তির প্রভাবে প্রস্তুত হয়ে থাকে,
যা কোন পরীক্ষাগারে প্রস্তুত সম্ভব নয়। বার্জেলিয়াসের দেওয়া এই মতবাদই প্রাণশক্তি
মতবাদ নামে অভিহিত হয়।
১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রেডরিক উহ্লার গবেষণাগারে ইউরিয়া নামক জৈব পদার্থটি তৈরী করার
পর বার্জেলিয়াসের প্রাণশক্তি মতবাদ বাতিল হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন বিজ্ঞানীগণ
গবেষণাগারে বিভিন্ন জৈব পদার্থ তৈরী করতে সক্ষম হলে- জৈব রসায়ন নামক বিজ্ঞানের একটি
পৃথক শাখার উদ্ভব হয়।