প্রতীক Rn
পারমাণবিক ওজন ২২২
পারমণবিক সংখ্যা ৮৬
ইলেক্ট্রোন সংখ্যা ৮৬
প্রোটোন ৮৬
ইলেক্টোন কক্ষ: ২ ৮ ১৮ ৩২ ১৮ ৮
ইলেক্ট্রোন শক্তিবিন্যাস :
4f14 5d106s26p6
গলনাঙ্ক :  -৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্ফুটনাঙ্ক : -৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আপেক্ষিক গুরুত্ব: ০.০০৯৭৩ গ্রাম/ঘন সেমি

রেডন
Radon

এটি এক প্রকারের ভারী এবং নিষ্ক্রিয় গ্যাস।  এর অর্ধায়ু ৩.৮ দিন।

১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে রসায়নবিদ আর্নেস্ট রাদারফোর্ড এবং তাঁর সহগবেষক আর ওয়েন্‌স-এর সাথে মিলে থোরিয়াম যৌগের তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণা করছিলেন। একদিন ওয়েন্‌স গবেনাগারে প্রবেশের সময়ে দরজাটি বেশ জোরে খোলেন। দরজার কাছাকাছিই থোরিয়াম যৌগের বিক্রিয়া সংক্রান্ত গবেষণাটি চলছিল। গবেষকগণ লক্ষ্য করলেন, দরজা খোলার কারণে কক্ষে যে বাতাস প্রবেশ করেছে তার প্রভাবে থোরিয়াম প্রস্তুতকরণের সময়কার বিকিরণের তীব্রতা কমে গেছে। প্রথমে এই ঘটনাটিকে তারা খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু অচিরেই বুঝতে পারেন হালকা বাতাস প্রবাহিত হলেও থোরিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা অনেক কমে যায়। এ থেকে রাদারফোর্ড ও ওয়েন্‌স বুঝতে পারেন থোরিয়াম থেকে অবিরাম ধারায় তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গত হয়। তারা একে থোরিয়ামের প্রসর্গ বলেন এবং নাম দেন থোরন। লাতিন ভাষায় থোরন শব্দের অর্থ প্রবাহিত হওয়া। এরপর ধারণা করা হয়েছিল, অন্যান্য সব তেজস্ক্রিয় পদার্থই প্রসর্গ নির্গত করতে পারে। ১৯০০ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ই ডর্ন রেডিয়মের প্রসর্গটি আবিষ্কার করেন এবং এর নাম দেয়া হয় রেডন।