উপাত্ত সঞ্চালন
Data Transmission
সাধারণভাবে একটি মাধ্যম থেকে অপর একটি মাধ্যমে
উপাত্তের আদান-প্রদানকে বলা হয় উপাত্ত সঞ্চালন। কম্পিউটারভিত্তিক উপাত্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়
বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ। এক্ষেত্রে সঞ্চালন-কৌশলের বিচারে উপাত্ত সঞ্চালনকে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটো হলো-
নিয়ন্ত্রিত তথ্য সঞ্চালন ও অনিয়ন্ত্রিত তথ্য সঞ্চালন।
১. নিয়ন্ত্রিত সঞ্চালন
(Guided Transmission):
এক্ষেত্রে তথ্যকে সুনির্দিষ্ট পথে প্রেরণ করার জন্য,
তার ব্যবহার করা হয়। এর ফলে তথ্য তারের পথ ধরে সুনির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পৌঁছায়। এক্ষেত্রে সাধারণত ব্যবহার করা হয়,
টুইস্টেড পেয়ার, কোয়াক্সিয়াল কেবল এবং অপ্টিকাল কেবল।
২. অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চালন
(Unguided Transmission):
এক্ষেত্রে তথ্যকে সুনির্দিষ্ট পথে প্রেরণ করার জন্য,
তার ব্যবহার করা হয় না। তথ্য সঙ্কেত উন্মুক্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে
বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বাহিত তথ্য বাতাস, সমুদ্রের জলরাশি বা মাধ্যমহীন পরিমণ্ডলেও ছড়িয়ে পড়ে। এই মাধম্যের যে কোনো
স্থান থেকে উপযুক্ত গ্রাহক যন্ত্রের সাহায্যে তথ্য গ্রহণ করা যায়।
তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবহারিক সুবিধার বিচারে, তথ্য-সঞ্চালনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। ভাগ তিনটি হলো-
১. একমুখী
(Symplex):
এই পদ্ধতিতে তথ্য এক প্রান্ত থেকে প্রেরণ করা হয়
এবং অন্য প্রান্ত থেকে তা গ্রহণ করা হয়। ফলে তথ্য আদান-প্রদান হয় একমুখী।
২. অর্ধ দ্বিমুখী (Halp Duplex):
এই পদ্ধতিতে উভয় প্রান্ত থেকেই তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।
তবে একই সময়ে তথ্যের আদান প্রদান হয় না। এর ফলে একটি প্রান্ত থেকে তথ্য যখন কোনো তথ্য প্রেরণ করা হয়,
তখন ওই প্রান্ত কোনো তথ্য গ্রহণ করতে পারে না। তার তথ্য প্রেরণের কাজ শেষ হলে, অন্য প্রান্ত থেকে তথ্য গ্রহণ করতে পারে।
৩. পূর্ণ দ্বিমুখী (Full Duplex):
এই পদ্ধতিতে উভয় প্রান্ত থেকেই একই সময়ে তথ্য
প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। এর ফলে একটি প্রান্ত থেকে তথ্য যখন কোনো তথ্য প্রেরণ করা হয়,
তখন ওই প্রান্ত কোনো তথ্য গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
এই তিনটি পদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত বা অনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কার্যকর হতে পারে।