মাইক্রোসফট কর্পোরেশন


 ১৯৮২-১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয় মাইক্রোসফটের লোগো


১৯৮৭–২০১২: মাইক্রোসফটের তথাকথিত "প্যাক-ম্যান" লোগো

 

 

 

২০১২- বর্তমান:
পঞ্চম মাইক্রোসফট লোগো

মাইক্রোসফট কর্পোরেশন
Microsoft Corporation

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক কম্পিউটার প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। 'মাইক্রোকম্পিউটার' ও 'সফটওয়্যার'-এর মিলনে "মাইক্রোসফট" নামটির সৃষ্টি। এর সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির রেডমন্ডে। এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার উন্নয়ন। কোম্পানিটির বহুল পরিচিত সফটওয়্যার পণ্যের ভিতরে রয়েছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম, অফিস স্যুট, এবং ইন্টারনেট এক্সফ্লোরার ও এজ ওয়েব ব্রাউজার। এছাড়া হার্ডওয়্যার পণ্যের মধ্যে রয়েছে এক্সবক্স ভিডিও গেম কনসোল ও সারফেস। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে মাইক্রোসফট ছিলো আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর বৃহত্তর সফটওয়্যার নির্মাতা (বর্তমানে সে জায়গা আলফাবেটের দখলে)।

খুব অল্প বয়সে বিল গেটস এবং তাঁর বন্ধু পল অ্যালেন কম্পিউটার ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।  এই সময় এঁরা অটোমোবিল যানবাহন চলাচল তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের উপযোগী  নিম্নমানে কম্পিউটার বিক্রয় করতেন। ১৯৭২ তাঁরা ট্র্যাফ-ও-ডাটা নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরে এঁরা উচ্চতর কম্পিউটার শিক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিল গেটস ভর্তি হয়েছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আর অ্যালেন ভর্তি হয়েছিলেনওয়াশিংটন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের এর জানুয়ারি সংখ্যায় এঁদের এমআইটিএস অল্টেয়ার ৮৮০০ মাইক্রোকম্পিউটার বিষয়ক একটি রচনা প্রকাশ করেন। এই সময় অ্যালেন কম্পিউটারের জন্য একটা বেসিক ইন্টারপ্রেটার প্রোগ্রাম করার কথা ভাবেন। এরপর বিলগেটসকে গেটসের সাথে এই কাজে মনোযোগ দেন। অ্যালেন অল্টেয়ারের জন্য একটা সিমুলেটর বানানোর কাজ করা শুরু করেন। অন্যদিকে বিল গেটস ইন্টারপ্রেটারটি নির্মান তৈরিতে হাত দেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে এঁরা আলবুকার্কে এমআইটিএসের সামনে ইন্টারপ্রেটারটি প্রদর্শন করেন। এমআইটিএস এর নাম দিয়েছিল অল্টেয়ার বেসিক।

১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৪ এপ্রিল অ্যালেন ও গেটস  নিজেদের পছন্দমতো কাজের জন্য  মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন। মাইক্রোসফট নামটি দিয়েছিলেন পল অ্যালেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন বিলগেটস

১৯৭৭-এর আগস্টে, কোম্পানিটি জাপানে আস্কি পত্রিকার সাথে একটা চুক্তিতে আসে। এই সূত্রে প্রতিষ্ঠা হয় প্রথম আন্তর্জাতিক আস্কি মাইক্রোসফট আপিস। 
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তাদের মাইক্রোসফটের সদরদপ্তর স্থানান্তরিত হয় ওয়াশিংটেনর বেলভিউ-তে।

১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে মাইক্রোসফট নিজস্ব ইউনিক্স সংস্করণ জেনিক্সের মাধ্যমে প্রথম অপারেটিং সিস্টেম জগতে আসে। তবে এই সিসটেমটি ব্যাবসায়ীক ভাবে সাফল্য এনে দিতে পারে নি। এই বছরের নভেম্বর মাসে মাইক্রোসফটের সাথে আইবিএম পিসির জন্য একটা সিপি/এম ওএসের সংস্করণ প্রদানের জন্য একটা চুক্তি হয়। এই সূত্র মাইক্রোসফট ৮৬-ডস নামে সিয়াটল কম্পিউটার প্রোডাকসের কাছ থেকে সিপি/এমের একটি ক্লোন কিনে নেয়, তারপর এর নাম দেয় এমএস-ডস। পরে আইবিএম এর নাম পরিবর্তন করে রাখে আইবিএম পিসি ডস।

১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে আইবিএম পিসি বাজারজাত হয়। আইবিএম তাদের বায়োস কপিরাইট করে রাখে। এর ফলে অন্যান্য কোম্পানিগুলো তাদের নন-আইবিএম হার্ডওয়্যারকে আইবিএম পিসি সামঞ্জস্য করতে বাধ্য হয়। আর ধীরে ধীরে মাইক্রোসফট অন্যতম পিসি অপারেটিং সিস্টেম বিক্রেতায় পরিণত হলো। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে "মাইক্রোসফট মাউজ" বাজারে ছাড়ে এবং এরা ব্যাপক সাফল্যের লাভ করে।
এই বছরে পল অ্যালেন হজকিন'স লিম্ফোমার কারণে মাইক্রোসফট থেকে পদত্যাগ করে।

১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিল গেটস এমএস-ডসকে চিত্রধর্মী অপারেটিং সিসেটেম তৈরির জন্য গবেষণা চালিয়ে যান এবং এই গবেষণার সূত্রে ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ২০ নভেম্বর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ মুক্তি পায়। এর পাশাপাশ এরা আইবিএমের সাথে একসাথে ওএস/২ উন্নয়ন শুরু করেছিলো।

১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাইক্রোসফট তাদের সদরদপ্তর ওয়াশিংটনের বেলভিউ থেকে রেডমন্ডে স্থানান্তর করে। ১৩ মার্চ তারিখে মাইক্রোসফট পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তর হয়। এ সময় স্টকের মূল্য এত বেশি বৃদ্ধি পায় যে, মাইক্রোসফটের চারজন চাকরিজীবী শত কোটিপতি ও ১২ জন চাকরিজীবী লাখপতিতে পরিণত হয়।

১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ২ এপ্রিল  মাইক্রোসফট তাদের নিজস্ব ওস/২ বিক্রি করে।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে ফেডারেল ট্রেড কমিশনের সাথে মাইক্রোসফটের আর আইবিএমের অংশীদারিত্ব নিয়ে আইনি জটিলতার শুরু হয়। তবে এর ভিতরেই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এনটি নিয়ে কাজ শুরু করে। উইন্ডোজ এনটি ওএস/২ এর কোড দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলো। তাই এই অপারেটিং সিস্টেমকে স্বতন্ত্র রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই বছরেই মাইক্রোসফট অফিস বাজারজাত হয়। এটি ছিল মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও মাইক্রোসফট এক্সেলের একটা সমন্বিত ধারার সফটওয়্যার। ২২ মে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৩.০ বাজারে ছাড়ে। এই দুটি ক্ষেত্রই মাইক্রোসফট  সাফল্য লাভ করেছিল।
 
১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুলাই নতুন মড্যুলার কার্নেল ও ৩২ বিট উইন৩২ এপিআই নিয়ে উইন্ডোজ এনটি মুক্তি পায়। মাইক্রোসফট আইবিএমকে উইন্ডোজ এনটির কথা জানালে, ওএস/২ অংশীদারিত্বের এখানেই সমাপ্তি হয়।

১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ জুলাই বিচার বিভাগের এন্টিট্রাস্ট ডিভিশন মাইক্রোসফটকে প্রতিযোগী বিরোধী কার্যক্রমের জন্য মামলার মুখে পড়ে। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে মাইক্রোসফট তাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে উন্নয়নে মনোযোগ দেয়। নেটস্কেপের মত কিছু আলাদা কোম্পানি ছাড়া, মাইক্রোসফট ছিলো একমাত্র নতুন অনভিজ্ঞ কোম্পানি। কিন্তু খুব দ্রুত তারা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জগতে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। এই সময়ের বোরল্যান্ড, ওয়ার্ডপারফেক্ট, নভেল, আইবিএম, ও লোটাস সফটওয়্যারের মতো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো মাইক্রোসফটের কাছে বাজারে হারায়

১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ আগস্ট মাইক্রোসফট নতুন প্রি-এম্পটিভ মাল্টিটাস্কের সুবিধাসম্পনন ব্যবহারকারী ইন্টারফেস ও নভেল স্টার্ট বাটনসহ উইন্ডোজ ৯৫ প্রকাশ করে। একই সাথে এরা উইন৩২ এপিআই সুবিধা নিয়ে আসে। উইন্ডোজ ৯৫ অনলাইন পরিষেবা এমএসএন, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সুবিধা প্রদান করে। তবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে উন্নয়ন তখনও শেষ না হওয়ায়, এটা পরবর্তীতে আসে উইন্ডোজ ৯৫ প্লাস! প্যাকেজের সাথে। এই বছরেই জেনারেল ইলেকট্রিকের এনবিসি ইউনিটের সাথে একজোট হয়ে মাইক্রোসফট ২৪/৭ ক্যাবল নিউজ চ্যানেল এমএসএনবিসি বাজারে আসে।
 
১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে গেটসের পুরোনো কলেজ বন্ধু, স্টিভ বালমার মাইক্রোসফটে যোগদান করেন।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে মাইক্রোসফটসহ আরও কিছু কোম্পানি মিলে মেধাস্বত্তের নিরাপত্তার জন্য ট্রাস্টেড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম জোট তৈরী করে।

২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জানুয়ারি  বিল গেটস স্বেচ্ছায় তাঁর স্টিভ বালমারের কাছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব তুলে দেন।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ অক্টোবর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এক্সপি বাজারে ছাড়ে, যেখানে মূলধারার ও এনটি ধারা এনটি কোডভিতের আওতায় একীভূত করা হয়। একই বছরের শেষের দিকে সনি আর নিন্টেন্ডোর কর্তৃত্বে থাকা বাজারে তারা এক্সবক্স প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় চলে আসে।
২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে নভেম্বরে কোম্পানির দ্বিতীয় ভিডিও গেম কনসোল এক্সবক্স ৩৬০ বাজারে আসে।

২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে উইন্ডোজের নতুন সংস্করণ ভিস্তা মুক্তি পায় একই সময়ে মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ প্রকাশিত হয়।  এই দুটো পণ্যের সূত্রে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের মাইক্রোসফট রেকর্ডধারী মুনাফার্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই সময় মাইক্রোসফট অন্যান্য  সান ও আইবিএমের মতো মাইক্রোসফটও ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে সার্ভার সুবিধার উপযোগী নতুন মাল্টি-কোর ইউনিট তৈরী করে।

২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুন বিল গেটস কেম্পানির প্রধান সফটওয়্যার নির্মতার পদ থেকে অবসর নেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অন্যান্য পদগুলো এখনও তিনি ধরে রেখেছেন। এই বছরের ২৭ অক্টোবর আজুর সেবা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানিটি ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বাজারে প্রবেশ করে।

২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি  মাইক্রোসফট তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডে খুচরা দোকানের একটি শৃঙ্খলা তৈরি করার কথা জানায়। ২২ অক্টোবর স্কটসডেল, অ্যারিজোনায় প্রথম খুচরা মাইক্রোসফট স্টোর খোলা হয় এবং একইদিনে জনসাধারণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উইন্ডোজ ৭ মুক্তি পায়। উল্লেখ্য, উইন্ডোজ ৭ ছিলো ভিস্তার ভুলগুলো শুধরানো একটি সংস্করণ।

২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে স্মার্টফোন শিল্পের যুগের শুরু হলে, মাইক্রোসফট দ্রুত অ্যাপল ও গুগলের সাথে টিকে থাকার জন্য নতুন আধুনিক স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়। এই শুত্রে মাইক্রোসফটের পুরোনো উইন্ডোজ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের জায়গা নিয়ে নেয় নতুন উইন্ডোজ ফোন ওএস। মাইক্রোসফট এই সফটওয়্যার শিল্পের নতুন জন্য নকিয়ার মত স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদের সাথে চুক্তিতে আসে। মাইক্রোসফট "মেট্রো" কোডনামে নতুন একটা ব্যবহারকারী ইন্টারফেস ব্যবহার করা শুরু করে, যেখানে মিনিমালিজম ধারণার প্রয়োগ করে ভারী গ্রাফিক্যাল ব্যবহারকারীর বদলে সহজ গঠন, টাইপোগ্রাফি ও আইকোনগ্রাফির ব্যবহার করা হয়।

২০১০ খ্রিষ্টাব্দে কিনেক্ট নামে মাইক্রোসফটের ডিজাইন করা একটি মোশন-সেন্সিং ভিডিও গেম কন্ট্রোলার মুক্তি পায়।

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ ওপেন নেটওয়ার্কিং ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা হয়। মাইক্রোসফ্ট এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল। এই বছরের জুন মাসে এরা কম্পিউটার ও ট্যাবলেট কম্পিউটার উভয়ের জন্য উপযোগী করে জুন উইন্ডোজ ৮ প্রকাশ করে। ১৩ সেপ্টেম্বরে ডেভেলপার প্রাকদর্শন প্রকাশিত হয়।

২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ ফেব্রুয়ারিতে ভোক্তা প্রাকদর্শন যুক্ত করে তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়। ১৮ জুন  প্রকাশ করা হয়  সারফেস। এটাই মাইক্রোসফটের তৈরি প্রথম কোন হার্ডওয়্যার। ২৫ জুনে মাইক্রোসফট সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ইয়ামার ১২০ কোটি মার্কিন ডলারে কিনে নেয়। জিমেইলের সাথে প্রতিযোগিতার দৌড়ে ৩১ জুলাইয়ে তারা আউটলুক ওয়েবমেইল পরিষেবার সূচনা করে। এই মাসে মাইক্রোসফট তার ৫০% স্বত্ব এমএসএনবিসির কাছে বিক্রি করে দেয়। ৪ সেপ্টেম্বর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সার্ভার ২০১২ বাজারে ছাড়ে। ২৬ অক্টোবর  মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ ও উইন্ডোজ সারফেস ল্যাপটপ বাজারে ছাড়ে। এর তিনদিন পর বাজারে আসে উইন্ডোজ ফোন।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ মার্চ  মাইক্রোসফট একটি প্যাটেন্ট ট্র্যাকার বাজারে ছাড়ে।  আগস্ট মাসে নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগ মাইক্রোসফটের সাথে নিউ ইয়র্ক শহরের নজরদারির জন্য ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস সিস্টেম তৈরীর জন্য মাইক্রোসফটের সাথে অংশীদারিত্বে আসে। এই বছরে এক্সবক্স ওয়ানের জন্য আবার হালনাগাদ করা হয়। জুলাই মাসে মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয় যে, তারা তাদের ব্যবসায়কে অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপলিকেশন, ক্লাউড ও ডিভাইস নামে চারটি ব্যবসায় বিভাগে পুনসংগঠিত করবে এবং এরপর আগের সমস্ত বিভাগের কর্মচারী ও অন্যান্য সম্পত্তি চারটি বিভাগে চলে আসবে। ৩ সেপ্টেম্বর মাইক্রোসফট ৭০০ কোটি ডলারে নকিয়ার মোবাইল বিভাগ কিনে নিতে রাজী হয়, এমি হুদের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি স্টিভ বালমার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে অবসর নেন। এবং তাঁর জায়গা তৎকালীন মাইক্রোসফটের ক্লাউড ও এন্টারপ্রাইজ বিভাগের প্রধান সত্য নাদেলা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একই দিনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিল গেটসের পদ গ্রহণ করেন জন ডব্লিউ থম্পসন চেয়ারম্যানের। এরপর থেকে বিল গেটস একজন প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২৫ এপ্রিল মাইক্রোসফট ৭২০ কোটি ডলারে নকিয়ার যন্ত্র ও পরিষেবা বিভাগ কিনে নেয়। নতুন এ অধিগ্রহণের পর এর নামকরণ করা হয় মাইক্রোসফট মোবাইল ওই। ১৫ সেপ্টেম্বর মাইক্রোসফট "মাইনক্রাফট"-খ্যাত গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা মোজাং ২৫০ কোটি ডলারে কিনে নেয়।

২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জুন মাসে মাইক্রোসফট হেক্সাডাইট নামে একটি ইসরায়েলি নিরাপত্তা ফার্ম ১ কোটি টাকায় কিনে নেয়।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি মাসে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন জানায় যে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের নিরাপত্তার জন্য তারা তাদের সাইবার নিরাপত্তা পরিষেবা অ্যাকাউন্টগার্ড জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনসহ ১২টি নতুন বাজারে প্রদান করবে।

২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ মাইক্রোসফট অ্যাফার্মড নেটওয়ার্কডস ১৩৫ কোটি টাকায় কিনে নেওয়ার ঘোষণা দেয় যে তারা ।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর সূত্রে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে, মাইক্রোসফট ১৭ মার্চ  ঘোষণা দেয় যে তারা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের সমস্ত খুচরা দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে।