ভি.আই.ও.পি
VIOP (Valuable Insight into Online Phone)

ভিওআইপি পদ্ধতি ব্যবহার করে টেলিফোনে কথা বলার উপযোগী বহুবিধ পরিসেবামূলক পদ্ধতি। সাধারণ এই পরিসেবাটিকে Valuable Insight into Online Phone services বলা হয়।

সমার্থক শব্দাবলি: আইপি টেলফোনি, ইন্টারনেট টেলিফোনি, ব্রডব্যান্ড টেলিফোনি, ব্রডব্যান্ড ফোন, ভয়েস ওভার ব্রডব্যান্ড। এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টেলিফোনে বাক্যালাপের উপযোগী একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ১৯৭৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
 Southern California -তে Danny Cohen যে নেটওয়ার্ক ভয়েস প্রটোকল {Network Voice Protocol (NVP)} পরীক্ষা করেছিলেন, এটি তারই সর্বাধুনিক বাণিজ্যিক রূপ।

মূলত আমরা যখন কম্পিউটার বা কম্পিউটার-ধর্মী যন্ত্রে (মোবাইল ফোন, সিডি/ডিভিডি, আইপড) কোন শব্দ সংরক্ষণ করি, তখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হয়। পরে আমরা এই শব্দকে শুনে থাকি। ভিওআইপি একইভাবে এ্যানালগ শব্দ সঙ্কেতকে ডিজিটাল শব্দে পরিণত করে কিন্তু তা কোনো মাধ্যমে সংরক্ষণ করার পরিবর্তে তাৎক্ষণিকভাবে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত শব্দসমূহকে তথ্যগুলিকে ছোটো ছোটো প্যাকেটে পরিণত করে, পরে সঠিক পথে এই তথ্যকে প্রেরণ করার জন্য রাউটার নামক যন্ত্রে পাঠানো হয়। রাউটার সঠিক পথে সেই প্যাকেটগুলিকে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এই পুরো ব্যাপারটি ঘটে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা। আর এক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইন্টারনেট প্রটোকলই হলো ভিওআইপি।

ভিওআইপির সাহায্যে ফোন করা সুবিধা পাওয়ার জন্য তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতি তিনটি হলো-
১. এটিএ (analogue telephone adapters : এ্যানালগ টেলিফোন এ্যাডাপ্টর): এই পদ্ধতিতে সাধারণ টেলিফোনকে এ্যানালগ ফোনের উপযোগী একটি এ্যাডাপ্টার কম্পিউটারে মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে এটিএ গেটওয়ে এ্যানলগ সঙ্কেতকে ডিজিটাল সঙ্কেতে পরিণত করে ইন্টারনেটের উপযোগী করে। পরে এই সঙ্কেতটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রেরিত হয়ে থাকে।

২. আইপি ফোন : ভিওআইপি পদ্ধতি ব্যবহার করে সাধারণ ফোনের মতো করে ব্যবহার করা যায় এমন ফোনপদ্ধতি। এক্ষেত্রে আরজে ১১ সংযোজকের পরিবর্তে আরজে ৪৫ ইথারনেট কানেক্টর দ্বারা ফোনটিকে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর কম্পিউটারে সংস্থাপিত সফটওয়্যারের দ্বারা এই ফোন করা করা সম্ভব হয়।

৩। আন্তর্জাতিক ব্যাপক ব্যবহৃত কিছু ওয়েব সাইট (যেমন- গুগল, ইয়াহু) ভিওআইপি পদ্ধতিতে টেলিফোনে কথা বলতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই কম্পিউটারের সাথে সাউন্ডকার্ড, স্পিকার এবং মাইক্রোফোন থাকতে হবে।