আব্দুল্লাহ আল মামুন
(১৯৪২-২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ)
অভিনেতা, নাট্যকার,
নাট্য-নির্দেশক চিত্রপরিচালক।
১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জুলাই তারিখে জামালপুরে জন্মগ্রহণ করে।
১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে বি এ এবং এম এ পাশ করেন।
১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে যোগ দিয়ে
দেন। পরে সিনিয়র প্রযোজক, প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং শেষে পরিচালক, ফিল্ম ও
ভিডিও ইউনিট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।
১৯৯১-২০০১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের
মহাপরিচালক ছিলেন।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক ছিলেন।
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২১
আগস্ট তারিখের ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ৬৬ বৎসর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
পরিবার:
স্ত্রী: নাম ফরিদা খাতুন।
১৯৮৪
খ্রিষ্টাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন।
সন্তান: তিন কন্যা। দীনা
নার্গিস, দীবা নার্গিস ও মনা নার্গিস।
পুত্র: লুৎফুল কুদ্দুস
তন্ময়।
তাঁর রচিত
নাটকের সংখ্যা ২৫টি। উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে-
অরক্ষিত মতিঝিল, আমাদের সন্তানেরা,
আরেকবার, এখনও ক্রীতদাস,
এখনও দুঃসময়, এবার ধরা দাও, কুরসী, কোকিলারা,
ক্রস রোডে ক্রস ফায়ার, জন্মদিন, তাহারা এখন,
তোমরাই, দ্যাশের মানুষ, বিবিসাব, মেরাজ ফকিরের
মা, মাইক মাষ্টার, মেহেরজান,
শপথ, সুবচন নির্বাসনে, সেনাপতি. স্পর্ধা।
নাট্য সংগঠন থিয়েটার-এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
এ ছাড়া ইনি সাতটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন।
তাঁর পরিচালিত প্রখ্যাত টিভি নাটক- শহীদুল্লাহ কায়সারের সংশপ্তক।
এটি ছাড়াও তিনি প্রযোজনা করেছেন- ঘরোয়া, আমি
তুমি সে, পাথর সময়, জোয়ার ভাটা, বাবা, শীর্ষবিন্দু, জীবন ছবি, উত্তরাধিকার, শেষ
বিকেলের মেয়ে, এক জনমে।
তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে
রয়েছে সারেং বৌ, সখী তুমি কার, এখনই সময়, জোয়ারভাটা, শেষ বিকেলের মেয়ে।
পুরস্কার :
-
জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার (১৯৭৮)
-
বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৯)
-
অগ্রণী ব্যাংক
সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২)
-
শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার,
সেরা কাহিনী চিত্রনাট্যকার হিসেবে পেয়েছেন দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
থিয়েটার প্রবর্তিত মুনির চৌধুরী সম্মাননা( ১৯৯১)
-
চিত্রনাট্যকার ও কাহিনীকার হিসেবে বাংলাদেশ ফিল্ম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন
পুরস্কার-তারকালোক পদক,
-
অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন
-
একুশে পদক ২০০০।