আবদুল লতিফ
১৯২৭/৩২-২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে
কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার।

১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে (মতান্তরে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ), বরিশাল জেলার রায়পাশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আমিনুদ্দিন, মায়ের নাম আজিমুন্নেসা।

শৈশব থেকে তিনি প্রচলিত লেখাপড়ায় অমনোযোগী ছিলেন। একারণে তিনি বেশি প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ায় বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেন নি।  স্থানীয় স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশান পাশ করে, উচ্চ শিক্ষার্থে কোলকাতায় যান। কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আগ্রহের কারণে, নানা ধরনের লোকগান শেখেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাক-ভারত বিভাজনের পর, তিনি বরিশাল থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ১৬ বৎসর বয়সে কংগ্রেস-এ গান পরিবেশন করেন।

ঢাকায় আসার পর তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে সুখ্যাতি অর্জন করেন। এই সূত্রে ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গীত প্রযোজকের চাকরি পান। এই বৎসরের ৫ই আগষ্ট তিনি বেতারে প্রথম গান পরিবেশন করেন।

১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটিতে তিনি সুরারোপ করেন। পরবর্তীকালে গানটিতে সুরারোপ করেছিলেন আলতাফ মাহমুদ। বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুরেই গানটি গাওয়া হয়।
১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে 'ভাষার গান দেশের গান' শিরোনামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদক লাভ করেন।
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি পুথি পাঠেও সুনাম অর্জন করেন। বেতারে তিনি নিয়মিত পুঁথি পাঠ করেতন। গীতিকার হিসেবে তিনি বেতার, টেলিবশন এবং চলচ্চিত্রের জন্য প্রায় দুই সহস্রাধিক গান রচনা করেন।

পরিবার :
স্ত্রীর নাম নাজমা বেগম।