অতুলচন্দ্র গুপ্ত

আইনজীবী ও সাহিত্যিক।


১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মার্চ টাঙ্গাইল জেলার বিল্লাইক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম উমেশচন্দ্র গুপ্ত। তিনি ছিলেন আইনজীবী। আইন ব্যবসার কারণে উমেশচন্দ্র সপরিবারে রংপুরে বসবাস শুরু করেন। এই কারণে অতুলচন্দ্রের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয় রংপুরে।

১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে অতুলচন্দ্র রংপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করেন। এরপর  কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজি ও দর্শনশাস্ত্রে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন।
১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 'কার্লাইল সার্কুলার-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে এম.এ পাশ করেন। এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন।

এরপর কিছুদিন তিনি রংপুর জাতীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরে রংপুরেই তিনি আইন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করে।

১৯১৮ খ্রিষ্টব্দে তিনি কলকাতা বিশববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে রোমান ল' ও জুরিসপ্রূডেন্সের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।  এই বৎসরে তিনি
Trading with the Enemy নামক একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করে, তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনাথনাথ দেব পুরস্কার' লাভ করেন।
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাপনা ত্যাগ করে তিনি পুনরায় আইন ব্যবসায় ফিরে যান এবং ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজীবিরৃপে স্বীকৃতি লাভ করেন।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে র্যাডক্লিফ ট্রাইবিউনাল-এ পশ্চিমবঙ্গের বক্তব্য তৈরির ভার তাঁর উপর অর্পিত হয়।
১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনিওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডি.এল উপাধি লাভ করেন।
 

১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ফেব্রূয়ারি তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।


তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা 

শিক্ষা ও সভ্যতা (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)
কাব্যজিজ্ঞাসা (১৩৩৫ বঙ্গাব্দ)
নদীপথে (১৩৪৪ বঙ্গাব্দ)

জমির মালিক (১৩৫১ বঙ্গাব্দ)
সমাজ ও বিবাহ (১৩৫৩ বঙ্গাব্দ)
ইতিহাসের মুক্তি (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ)


সূত্র :
বাংলাপিডিয়া প্রথম খণ্ড। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। চৈত্র ১৪০৯/মার্চ ২০০৩।
সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড। জানুয়ারি ২০০২।