বার্ট্রান্ড আর্থার উইলিয়াম রাসেল
Bertrand Arthur William Russell
(১৮৭২-১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ)
দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ,
ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী এবং সমাজ সমালোচক।
১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ মে গ্রেট ব্রিটেনের ওয়েলস-এ জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা ভাইকাউন্ট অ্যাম্বারলি ছিলেন উদারনৈতিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মায়ের নাম
ক্যাথরিন অ্যাম্বারলি। তিনি পিতা-মাতার দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন। তাঁর মা
ক্যাথরিন অ্যাম্বারলি ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে ডিপথেরিয়ায় মারা যান। ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে
পিতা ভাইকাউন্ট অ্যাম্বারলিও মারা যান।
এই সময় মাতামহী লেডী জন রাসেল শিশু রাসেলের লালন-পালনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য তাঁর দাদী ছিলেন রাজনীতিতে উদারনৈতিক, ধর্মীয় চিন্তায় কঠোর নীতিবাদী। এই
মহীয়সী নারী রাসেলের জীবনে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তাঁর দাদা ছিলেন রাণী
ভিক্টোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন।
১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে গণিতশাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে বিএ পাস করেন। এই সময় তিনি
রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন।
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধবিরোধী ভূমিকার জন্য ট্রিনিটি কলেজ থেকে তাঁকে বহিষ্কার এবং
১১০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়।
১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধবিরোধী মিছিলে অংশ গ্রহণ করার জন্য ৫ মাসের কারাদণ্ড হয়।
১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেন প্রথমবারের মতো আণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়া। এই সময় তিনি
বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। এই কারণে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে দুই
মাসের কারাদণ্ড দেয়।
১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেনের সুয়েজ আক্রমণের প্রতিবাদ করার কারণে তিনি কারাবরণ করেন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় নুরেমবার্গ স্টাইলের ট্রাইবুন্যাল গঠন করে গণহত্যার অভিযোগে
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জনসনের বিচার করে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করেন।
১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে পরমাণু অস্ত্রবিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন।
১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে পরমাণুবিরোধী বিক্ষোভের কারণে এক সপ্তাহ কারাবাস করেন। এছাড়া
ষাটের দশকে কিউবাকে নিয়ে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত করার
উদ্যোগ নেন।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
পরিবার: তিনি চারটি বিবাহ করেছিলেন। তাঁর স্ত্রীরা হলেন-
সন্তানাদি: Conrad Russell, 5th Earl Russell, Lady Katherine
Tait, John Russell, 4th Earl Russell, Harriet Ruth Russell
তিনি জীবদ্দশায় অনেক সম্মাননায় ভূষিত হন। এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য সম্মাননা হলো-
সূত্র: