বিপুল ভট্টাচার্য
লোকসঙ্গীত শিল্পী এবং
মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৫শে জুলাই কিশোরগঞ্জের
শোলাকিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
শৈশব থেকেই তিনি লোকসঙ্গীতের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে উঠেন। এই আগ্রহ এবং ভালোবাসা
থেকে নিজের চেষ্টায় লোকসঙ্গীত শিখেছিলেন। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তদানীন্তন ইষ্ট
পাকিস্তান সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় পল্লী গানে তিনি প্রথমস্থান অধিকার করেছিলেন।
মুক্তির গান চলচ্চিত্রে বিপুল ভট্টাচার্য |
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর বয়স ছিল মাত্র
১৮ বছর। ১৯৭১ এই সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত তাঁর গান
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রেরণা জুগিয়েছে। তিনি শরণার্থী শিবিরের হাজার হাজার মানুষের
মনে সাহস সঞ্চার করেছিলেন গানের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থার
সদস্য। মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থায় আরো ছিলেন লুবনা মরিয়ম, তারেক আলী,
মাহমুদুর রহমান বেণু, নায়লা খান ,স্বপন চৌধুরী, শাহিন সামাদ, দেবব্রত চৌধুরী,
দুলালচন্দ্র শীল, মোশাদ আলী।
১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তারিক মাসুদ পরিচালিত
‘মুক্তির গান’ চলচ্চিত্রে
স্থান পাওয়া মুক্তিযুদ্ধের ১১টি গানের মধ্যে ১০টিই ছিল বিপুল ভট্টাচার্যের গাওয়া।
তিনি ছায়ানটে লোকসঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ক্রমে ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই
জুলাই মুম্বইর টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে
ক্যান্সারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
২০১০ সালে তাঁর ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এই চিকিৎসার জন্য তাঁর সহযোদ্ধারা
সাহায্য করেন। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের আয়োজন করা হয় গানের অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র
প্রদর্শনী। এছাড়া রেডিও ফুর্তি এক লাখ টাকা প্রদান করে।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জুলাই ঢাকার ধানমন্ডির
আহমদ মেডিকেল সেন্টারে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পরিবার
স্ত্রী : কুমকুম ভট্টাচর্য
এক ছেলে এক মেয়ে।
সূত্র :
http://www.samakal.net/2013/07/05/6425
http://desherpatro.com/ (সহযোদ্ধাদের
কাছে বিপুল যেমন ছিলেন)৭ জুলাই ২০১৩
http://bbarta24.com/news/category/entertainment/detail/10506