ফা-হিয়েন
ইংরেজি:
Fa Xian,
ঐতিহ্যগত চীনা:
法顯;
সরলীকৃত চীনা:
法显;
পিনয়িন: Fǎxiǎn;
খ্রিষ্টীয়
পঞ্চম শতাব্দীর একজন চীনা পরিব্রাজক।
৩৩৭ খ্রিষ্টাব্দে চীনের শানজি-তে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বৎসর বয়সের তাঁর
পিতামাতা বৌদ্ধ সংঘে ভর্তি করে দেন। এই সংঘে শিক্ষালাভের পর তিনি নবব্রতিত্ব লাভ
করেন। এরপর 'বিনয় পিটক' সংগ্রহের জন্য ভারতে আসার উদ্যোগ নেন।
সূচনায় তিনি ভারত ভ্রমণ করেন। ৩৯৯ খ্রিষ্টাব্দে চীন থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
মধ্য এশিয়া এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত ভ্রমণ শেষে তিনি উত্তর ভারতে পৌঁছান।
এরপর তিনি একে একে গঙ্গা উপত্যকায় বৌদ্ধ সংস্কৃতির বিভিন্ন পবিত্র স্থান দর্শন করেন। এই সময় তিনি বুদ্ধের জন্মভূমি কপিলাবস্তু, বুদ্ধগয়া পরিভ্রমণ করেন। কথিত আছে এখানে তিনি দিব্যজ্ঞান লাভ করেন। তিনি সারনাথ-এ কুশীনগর ভ্রমণ করেন। ভারত ভ্রমণের শেষ পর্যায়ে তিনি সীমান্তরাজ্য চম্পার মধ্য দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করেন। সে সময়ের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক বন্দর তাম্রলিপ্তি (তমলুক, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত) থেকেই সমুদ্রপথে শ্রীলঙ্কায যাওয়ার উদ্যোগ নেন। শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পূর্বে তিনি দীর্ঘ দুই বছর তাম্রলিপ্তিতে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের অনুলিপি তৈরি করেন এবং বৌদ্ধ মূর্তির ছবি আঁকেন। তাঁর বিবরণী থেকে জানা যায়, এ সময় তাম্রলিপ্তিতে চব্বিশটি বৌদ্ধ মঠ ও অনেক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ছিলেন। এ সময় গুপ্ত বংশীয়রা বাংলার অংশবিশেষসহ মগধ সাম্রাজ্য শাসন করছিলেন।
ফা-হিয়েন শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ শেষে ৪১৪ খ্রিষ্টাব্দে চীনে প্রত্যাবর্তন করেন। ৪২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।