 হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, মহামহোপাধ্যায়,
ডি,লিট; 
সি, আই.ই
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, মহামহোপাধ্যায়,
ডি,লিট; 
সি, আই.ই  
১৮৭৭ 
খ্রিষ্টাব্দ : সংস্কৃত কলেজ থেকে এম.এ পরীক্ষায় একমাত্র তিনিই প্রথম বিভাগে 
উত্তীর্ণ হন এবং ‘শাস্ত্রী’ উপাধি পান। 
১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দ: মার্চ বিবাহ করেন। 
কর্মজীবনের সুচনায় কলিকাতা হেয়ার স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। ক্রমে লক্ষ্ণো ক্যানিং 
কলেজ, কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে 
অধ্যাপনা করেন। পরে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। 
পুরাতন পুঁথি সংগ্রহের মাধ্যমে চর্যাপদ গবেষণা করে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনত্বকে 
প্রমাণিত করেন। ‘গোপাল তাপনি’ উপনিষদের ইংরেজী অনুবাদে তিনি রাজেন্দ্রলাল মিত্রের 
সহযোগী ছিলেন। ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ গ্রন্থ রচনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে 
প্রাপ্ত লেখা থেকে পাঠোদ্ধার এবং পুঁথি আবিষ্কার ও টীকা রচনা করে ভারতবর্ষের 
প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখেন। ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে 
রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মৃত্যুর পর এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক সংস্কৃত 
পুঁথিসংগ্রহের কাজে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। এই কাজে তিনি নেপাল. তিব্বত ভ্রমণ করেন।
১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে সংস্কৃত কলেজে কলেজে এম.এ ক্লাস প্রবর্তন করেন।
১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দ নেপাল থেকে বাংলা ভাষার প্রাচীনতম গ্রন্থ-নিদর্শন ‘চর্যাগীতি’ সরোহৃবজ্জ্র রচিত ‘দোহাকোষ’ কাহ্নপাদ রচিত ‘দোহাকোষ’ ও সংস্কৃতে রচিত ‘ডাকার্ণব’- এই চারিটি গ্রন্থ তিনি উদ্ধার করেন। ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে তাঁর সম্পাদনায় ‘হাজার বছরের পুরান বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা’ নামক সংকলন প্রকাশিত হয়।
বিভিন্ন  সময়ে তিনি ভারতের বিভিন্ন সংস্কৃতিবান বিদগ্ধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত 
ছিলেন এবং লণ্ডন রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির অনারারি সদস্য ছিলেন। তাঁর রচিত ৫২টি 
নিবন্ধের মধ্যে ঐতিহাসিক নিবন্ধের সংখ্যা বেশী হলেও সময়তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব এবং 
শাসনতন্ত্র বিষয়েও কয়েকটি আলোচনা আছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ থেকে তাঁর 
রচিত সকল গ্রন্থ 'হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা-সংগ্রহ' নামে চারখণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।