১৯৭১
খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। যুদ্ধের
শুরুর দিকে তিনি ভারতের
ত্রিপুরায় চলে যান।
এই সময় তিনি আগরতলায় মুক্তিযোদ্ধা
শিবিরে সেবামূলক কাজ করেছেন। এই সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা নোয়াখালির বিভিন্ন জায়গায়
ব্যাপক গণহত্যা শুরু করলে, তিনি চারশো শিশুকে উদ্ধার করেন এবং ক্যাথলিক মিশনের
সহায়তায় সীমান্তের ওপারে নিরাপদস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি নোয়াখালিতে ফিরে আসেন এবং প্রবর্তক সংঘ, প্রবর্তক
বিদ্যাপীঠ এবং প্রবর্তক শিশু সদন পুনর্গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৯
খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে গান্ধী আশ্রমে যোগ দেন এবং গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের
ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে গণমুখী করার জন্য কর্মসূচী গ্রহণ করেন।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে গান্ধী আশ্রমের প্রাণপুরুষ চারু চৌধুরীর মৃত্যুর পর, ঝর্নাধারা
চৌধুরী সচিব পদের গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করে জনকল্যাণমুখী এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে
যাওয়ার লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত বিশ্বনারী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুন তাঁর জীবনাবসান হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তি:
১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকার কর্তৃক আন্তর্জাতিক বাজাজ পুরস্কার
২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ওয়েস্টবেরি বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি পুরস্কার
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে অনন্যা শীর্ষদশ পুরস্কার
২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে দুর্বার নেটওয়ার্ক পুরস্কার
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘সাদা মনের মানুষ’ হিসেবে
স্বীকৃতি
২০১০ খ্রিষ্টাব্দ শ্রীচৈতন্য পদক, চ্যানেল আই এবং স্কয়ার কীর্তিমতী নারী পুরস্কার
এবং ‘গান্ধী সেবা পুরস্কার’।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সমাজসেবার জন্য বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া পদক লাভ, গান্ধীবাদ প্রসার
ও নিপীড়িত মানুষের সেবায় অবদানের
স্বীকৃতিস্বরূপ- ভারত সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান
‘পদ্মশ্রী’ খেতাব লাভ।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদক লাভ।