জোহরা তাজউদ্দীন,
সৈয়দ
বিশিষ্ট রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্ব। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য ও স্বাধীন
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
তাজউদ্দীন
আহমদের সহধর্মিণী
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪
ডিসেম্বর, ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়া, খেলাধুলা, ঘোড়া
চালানোসহ সংস্কৃতিমনা পরিবারে বেড়ে উঠেছেন তিনি। অধ্যাপক বাবার
সান্নিধ্যে কিশোরী বয়স থেকেই সমাজকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করেন। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হিসেব
তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন।
১৯৫৯
সালে তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে, স্বামীর রাজনৈতিক
জীবনের সহযোদ্ধায় পরিণত হন। এই সূত্রে সকল আন্দোলনে তাঁর উজ্জ্বল
ভূমিকা ছিল।
১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে গঠিত রাজবন্দি সাহায্য কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক
নির্বাচিত হন।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি একজন বলিষ্ঠ সংগঠক হিসেবে অত্যন্ত
প্রশংসনীয় ও গৌরবময় ভূমিকা রাখেন।
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং পরে একই
বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে স্বামী তাজউদ্দীনসহ চার জাতীয়
নেতা হত্যার পর দেশের ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, আওয়ামী লীগের
সেই চরম দুর্দিনে দলের হাল ধরেন তিনি। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের দলের
আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়ে দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেন। ওই সময়ই
সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে এক
অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে শেখ হাসিনা দেশে
ফিরে দলের হাল ধরলে, তাঁকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত
করা হয়। সেই থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন
তিনি।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০
ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
স্ত্রী : সৈয়দা জোহরা
তাজউদ্দীন।
সন্তান : ৪টি।
সূত্র :
আমার ছোটবেলা ১৯৭১ এবং বাবা তাজউদ্দীন আহমদ । সিমিন হোসেন
রিমি
বাংলাদেশের তারিখ। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র: মুজিবনগর প্রশাসন,
তৃতীয় খণ্ড, প্রকাশকাল: নভেম্বর ১৯৮২)
তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরী, ১৯৪৭-৪৮ প্রথম খণ্ড। প্রতিভাস
প্রকাশন।