খুরশিদ খান
সেনীয়া-নাইহার ঘরানার সেতার বাদক।

১৯৩৫
খ্রিষ্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাদেকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর মামা ওস্তাদ আবিদ হোসেনের কাছে সেতারে হাতেখড়ি  হয়। এরপর তাঁর মাতামহ ওস্তাদ আয়েত আলী খান এবং মামা ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খানের কাছে সেতারে তালিম নেন।

১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের আসামের করিমগঞ্জের ছন্দভারতী স্কুলে এবং শিলচর সঙ্গীত বিদ্যালয়ে সেতারের শিক্ষকতা করেন।
১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে অল ইন্ডিয়া মিউজিক কমপিটিশনে আসামের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং ওই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।

১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গ সাংস্কৃতিক সম্মেলনে সেতার পরিবেশন করেন।
১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান সরকারের আমন্ত্রণে জার্মান যান এবং বন শহরে সেতার বাদনে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে আসেন এবং ঢাকা বেতারে নিজস্ব সেতার শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনে সেতার বিভাগে শিক্ষকতা করেন।

১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে টেলিভিশনের নিজস্ব সেতার শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। উল্লেখ্য, ১৯৬৪ থেকে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি বিটিভির মুখ্য সংগীত প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন।

১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর সেতারের দীর্ঘবাদন রেকর্ড প্রকাশিত হয়।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে সেতারের একক সিডি প্রকাশিত হয়।
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে সেতারের একটি মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। এই বৎসরে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে বার্ধক্যজনিত কারণে ছায়ানটের শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন। এরপর তিনি বেতার, টেলিভিশন এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামে সেতার বাদন ছাড়া অন্য কোনো কাজ করেন নি।

২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জানুয়ারিতে ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।