 কে ভি কৃষ্ণা রাও
কে ভি কৃষ্ণা রাও১৯৪৯-৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির প্রতিষ্ঠা করেন ও প্রশিক্ষক 
হিসেবে যোগ দেন। 
১৯৫২-৫৫ খ্রিষ্টাব্দে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদর দফতরে ছিলেন 
জেনারেল স্টাফ অফিসার (গ্রেড-২) হিসেবে। ১৯৬০-৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জম্মু-কাশ্মীরে ছিলেন জেনারেল 
স্টাফ অফিসার (গ্রেড-০১) হিসেবে।
১৯৬৮-৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদর দফতরে মিলিটারি 
অপারেশনস বিভাগের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
১৯৭০-৭২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 
ভারতের মণিপুর ও নাগাল্যান্ড রাজ্যে কর্মরত ছিলেন। এই সময়ের ভিতরে ১৯৭১ 
খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়।  এই সময় তিনি 
মিত্রবাহিনীর কমান্ডিং জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই 
সময় তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ০৮ মাউন্টেন ডিভিশনের জিওসি ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে 
পরিচালিত মিত্রবাহিনীর সিলেট তথা বাংলাদেশের 
উত্তর-পূর্বাঞ্চল পাকিস্তানি সৈন্যদের দখলদারিমুক্ত হয়। 
লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্বগত সিং তাঁর উপর দায়িত্ব ছিলেন- শেরনগর বিমানঘাঁটি ও 
সিলেটের মৌলভীবাজার এলাকা শত্রুমুক্ত করার। তিনি মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর 
পঞ্চম গুর্খা ব্যাটালিয়ন ও মেজর জেনারেল কে ভি কৃষ্ণা রাওয়ের ০৮ মাউন্টেন ডিভিশনের 
তীব্র আক্রমণে ২৭ পাকিস্তান ব্রিগেড ছাতক পর্যন্ত পিছিয়ে যায়।  সিলেটের ২০২ 
পাকিস্তান ব্রিগেড ও মৌলভিবাজারের ৩১৩ পাকিস্তান ব্রিগেড যেন ২৭ পাকিস্তান 
ব্রিগেডকে যাতে এদেরকে (২৭ পাকিস্তান ব্রিগেড) সহায়তা করতে এগিয়ে না আসতে পারে, সে 
জন্য মেজর জেনারেল কে ভি কৃষ্ণা রাও তাঁর ০৮ মাউন্টেন ডিভিশন নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে 
তুলেন। এরপর মিত্রবাহিনীর আক্রমণে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকার দিকে পিছু হটতে থাকে। কৃষ্ণা রাওয়ের অসাধারণ অধিনায়কত্বে 
মিত্রবাহিনীর আখাউড়া-ভৈরব বাজার পর্যন্ত অঞ্চলকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দখলদারিত্ব 
থেকে মুক্ত করেন।
 ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ 
অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ 
অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন। 
১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত 
করা হয়। 
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জেনারেল পদে উন্নীত হন। 
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে চিফ অব আর্মি স্টাফ পদে উন্নীত হন। 
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের জুন থেকে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাস পর্যন্ত তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৪তম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন 
করেন তিনি। 
১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের করেন। 
১৯৮৩-১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত 
তিনি ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গর্ভনরের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে জানুয়ারি, বিরানব্বই বছর বয়সে দিল্লিস্থ সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।