মোহিতলাল মজুমদার
(১৮৮৮-১৯৫২)
প্রসিদ্ধ বাঙালি কবি ও সাহিত্য সমালোচক।
১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ অক্টোবর (শুক্রবার ১১ কার্তিক ১২৯৫) বর্তমান
পশ্চিমবঙ্গের
হুগলি জেলার ভুঁচূড়া মহকুমার অন্তর্গত বলাগড় গ্রামে, ২৪ পরগণা জেলায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
বাবার নাম নন্দলাল মজুমদার এবং তাঁর মায়ের নাম হেমমালা দেবী।
মোহিতলালের শৈশব এবং কৈশোর বলাগড় গ্রামেই অতিবাহিত হয়। অবশ্য ছোটবেলায় তিনি কিছুদিন
কাঁচড়াপাড়ার কাছে হালিশহরে মায়ের মামাবাড়িতে অবস্থান করে সেখানকার বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।
১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বলাগড় বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন।
১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন থেকে বি.এ পাস করেন। কিন্তু আর্থিক অসুবিধাযর কারণে তিনি
এম.এ-তে ভর্তি হয়েও লেখাপড়া ছেড়ে দেন।
১৯১০ থেকে ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ তিনি পর্যন্ত কলকাতার তালতলা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকারি জরিপ বিভাগে কানুনগো পদে চাকরি গ্রহণ করেন।
তিন বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন।
১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর
প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'দেবেন্দ্র-মঙ্গল' প্রকাশিত হয়।
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃত বিভাগে অধ্যাপনা কর্মে নিয়োজিত থাকেন।
১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাপনার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন
মোহিতলাল। তারপর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। পরে বঙ্গবাসী কলেজে গিরিশ সংস্কৃতি ভবনে
অধ্যাপনায় যোগ দেন।
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ জুলাই কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
রচিত কাব্যগ্রন্থ
- দেবেন্দ্র-মঙ্গল (১৯২২)
- স্বপন-পসারী (১৯২২)
- বিস্মরণী (১৯২৭)
- স্মরগরল (১৯৩৬)
- হেমন্ত-গোধূলি (১৯৪১)
- ছন্দ চতুর্দশী
(১৯৪১)
- কাব্য মঞ্জুষা
প্রবন্ধগ্রন্থ
- আধুনিক বাংলা সাহিত্য (১৯৩৬)
- সাহিত্যকথা (১৯৩৮)
- বিবিধ কথা (১৯৪১)
- বিচিত্র কথা (১৯৪১)
- সাহিত্য বিতান (১৯৪২)
- বাঙলা কবিতার ছন্দ (১৯৪৫)
- বাঙলার নবযুগ (১৯৪৫)
- জয়তু নেতাজী (১৯৪৬)
- কবি শ্রীমধুসূদন (১৯৪৭)
- সাহিত্য বিচার (১৯৪৭)
- বঙ্কিমবরণ (১৯৪৯)
- রবি-প্রদক্ষিণ (১৯৪৯)
- শ্রীকান্তের শরৎচন্দ্র (১৯৫০)
- জীবন জিজ্ঞাসা (১৯৫১)
- বাঙলা ও বাঙালী (১৯৫১)
- কবি রবীন্দ্র ও রবীন্দ্র কাব্য (প্রথম খণ্ড ১৯৫২, দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৫৩)
- বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস (১৯৫৫)
- বিবিধ প্রবন্ধ
বঙ্কিম বরণ (১৯৪৯)