ওবায়েদ উল হক
[১৯১১-২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ]

সাংবাদিক, কবি, ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্র পরিচালক প্রযোজক, সুরকার, গীতিকার। ছদ্মনাম হিমাদ্রী চৌধুরী।

১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন।

স্কুল জীবন থেকে সাহিত্যের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর প্রথম কবিতা সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।  এরপর বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর রচনা প্রকাশিত হয়েছে। পঞ্চাশের দশকে দিগ্বিজয়ে চোরাবাজার নামে তিনটি একাঙ্কিকা নাটক নিয়ে প্রথম বই প্রকাশিত হয়। এরপর একই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হয় আরেকটি বই- এই পার্কে।

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন ও মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করেন।

১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষ তাঁর ভাবনাকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছিল। এই সূত্রে তিনি ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ' দুঃখে যাদের জীবন গডা ছবিটি তৈরি করেন। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর। এই ছবি তৈরির সময়- পরিবেশকের বিশেষ অনুরোধে তিনি তাঁর নাম পরিবর্তন করে হিমাদ্রী চৌধুরী রেখেছিলেন। এই ছবির কিছু প্রচারপত্রে তাঁর নাম 'ওবায়েদ উল হক' উল্লেখ ছিল। পরে হিমাদ্রী চৌধুরী নামে প্রচার পুস্তিকা ছাপা হয়েছিল। এই ছবিটি সিনে ম্যাগাজিন রূপমঞ্চের জরিপে সে বছর সেরা ১০টি ছবির একটি নির্বাচিত হয়েছিল।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তদানীন্ত পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫১ থেকে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারের সম্পাদকীয় লিখেছেন।
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক হন তিনি এবং ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন দৈনিক ডেইলি নিউজে এবং ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এই দৈনিকটির সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি দৈনিক বাংলা এবং বাংলাদেশ টাইমসের বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৩ অক্টোবর তিনি মৃত্যবরণ করেন।

তাঁর রচিত পুস্তকের সংখ্যা ১৪টি বই। এর ভিতরে ছয়টি নাটক, তিনটি উপন্যাস, তিনটি কাব্যগ্রন্থ। ইংরেজিতে একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। পুর্স্কার ও সম্মাননা