ঋতুপর্ণ ঘোষ
চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ আগষ্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সুনীল ঘোষ ছিলেন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির পাঠ শেষে চাকরি নেন বিজ্ঞাপন সংস্থায়। লিঙ্গ পরিবর্তন ঋতুপর্ণর জীবনে একটি বিশেষ অধ্যায়। বহু বিতর্কেও তিনি অবিচল থেকে বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।

১৯ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে তার সর্বমোট চলচ্চিত্র ১৯টি।  এ ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টি জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক পরবর্তী বাংলা সিনেমার নতুন এক ধারা তৈরি করেছিলেন ঋতুপর্ণ।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে তিনি তাঁর দক্ষিণ কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
 
ঋতুপর্ণ ঘোষের চলচ্চিত্র
১৯৯২- হীরের আংটি
১৯৯৪- উনিশে এপ্রিল ( জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক, জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- দেবশ্রী রায়)
১৯৯৭- দহন ( জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ স্ক্রিন প্লে, জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- ইন্দ্রাণী হালদার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত)
১৯৯৯- বাড়িওয়ালি ( জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী-কিরণ খের, শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেত্রী- সুদীপ্তা চক্রবর্তী)
১৯৯৯- অসুখ ( জাতীয় পুরস্কার- বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ সিনেমা)
২০০০- উৎসব ( শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জাতীয় পুরস্কার)
২০০২- তিতলি
২০০৩- শুভ মহরত (জাতীয় পুরস্কার- বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সিনেমা, শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেত্রী- রাখী)
২০০৩- চোখের বালি ( জাতীয় পুরস্কার- শ্রেষ্ঠ বাংলা সিনেমা)
২০০৪- রেইনকোট ( হিন্দি ভাষায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার)
২০০৫- অন্তরমহল
২০০৬- দোসর ( জাতীয় পুরস্কার, বিশেষ জুরি পুরস্কার- প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী)
২০০৭- দ্য লাস্ট লিয়র ( ইংরেজি ভাষায় শ্রেষ্ঠ ছবির জাতীয় পুরস্কার)
২০০৮- খেলা
২০০৮- সব চরিত্র কাল্পনিক (জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ বাংলা সিনেমা)
২০১০- আবহমান ( জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক, বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ ছবির জাতীয় পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার)
২০১০- নৌকাডুবি
২০১২- সানগ্লাস
২০১২- চিত্রাঙ্গদা ( বিশেষ জুরি পুরস্কার, অভিনেতা ঋতুপর্ণ ঘোষ)


সূত্র :
কলকাতাওয়েব.কম এ প্রোফাইল
ঋতুপর্ণ ঘোষ ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ

http://www.kolkatadreams.com/2010/01/rituparno-ghosh-a-bengali-film-director.html