রবিউল হোসেন, ওস্তাদ রাগ সঙ্গীত শিল্পী। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই মে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার নবদ্বীপ-এ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ওস্তাদ মোজাম্মেল হোসেন। উল্লেখ্য তাঁর দাদা শেখ হারান উদ্দীন ছিলেন একজন শৌখিন সেতার বাদক। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে, তাঁর সঙ্গীতের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় পিত্যৃশিষ্য ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। এরপর তাঁর পিতা ওস্তাদ মোজাম্মেল হোসেনের কাছে ১৩ বছর । এরপর তাঁর পিতার শিষ্য এবং চাচা প্রয়াত তবলা সঙ্গতকার ওস্তাদ ইয়াসিন আলী ও হোসেন আলীর কাছে দীর্ঘকাল যাবৎ সঙ্গীতে তালিম নেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে পিতার মৃত্যূর পর তিনি পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরীর কাছেও কিছুদিন সঙ্গীতে তালিম নেন। এরপর ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি ওস্তাদ দাউদ-এর কাছে থেকে তালিম গ্রহণ করেন। বেতার টেলিভশন ও মঞ্চে রাগসঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি সঙ্গীতের শিকক্ষকতা করেছেন বহুদিন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর আমন্ত্রণে অষ্টম শ্রেণির উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বিষয়ক পাঠ্য পুস্তক রচনা করেন। তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের রাজশাহী জেলা শাখায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় ‘সংকেত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ সঙ্গীতের জন্য তাঁকে সংবর্ধনা দেন। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহীতে ‘হিন্দোল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই বৎসরে তাঁকে রাজশাহী সিপি করপরেশন সংবর্ধধনা দেয়।
২০০০ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহীর জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, ২০০১ সালে খুলনার গণশিল্পী সংস্থা ও নাটোরের মনবীণা সঙ্গীত বিদ্যাপীঠ শিল্পীকে সংবর্ধনা প্রদান করে।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২২ নভেম্বর, দুরারোগ্য রোগে রাজশাহী নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।