সেলিম আল দীন

নাট্যকার ও নাট্য গবেষক।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ঢাকা থিয়েটার নামক নাট্যদলের প্রতিষ্ঠা সদস্য। গ্রাম-থিয়েটার আন্দোলনের অন্যতন সদস্য। 
১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে টাঙ্গাইলের করোটিয়া সাদত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন।

১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের নিয়ে লেখা তাঁর বাংলা প্রবন্ধ নিগ্রো সাহিত্য ছাপা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর প্রথম রেডিও নাটক বিপরীত তমসায় প্রচারিত হয়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে টেলিভিশনে আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় লিব্রিয়াম (পরিবর্তিত নাম ঘুম নেই) প্রচারিত হয ।
 
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে আমিরুল হক চৌধুরী নির্দেশিত এবং বহুবচন প্রযোজিত প্রথম মঞ্চনাটক সর্প বিষয়ক গল্প মঞ্চস্থ হয়। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৮১-৮২ খ্রিষ্টাব্দে নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফকে সাথী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার।

১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা করেন। ওই বছরই বেগমজাদী মেহেরুন্নেসার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের একমাত্র সন্তান মইনুল হাসানের অকালমৃত্যু হয়।

১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মধ্যযুগীয়বাংলা সাহিত্যে নাটক এর উপর গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদক পান।
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই জানুয়ারী (সোমবার),  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে  দুপুর ২টা ১০ মিনিটে, ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে মৃত্যবরণ করেন।

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক
কিত্তনখোলা (১৯৮০)
কেরামত মঙ্গল (১৯৮৪)
চাকা (১৯৯০)
নিমজ্জন
প্রাচ্য 
বনপাংশুল
বেলুন
মুন্তাসীর ফ্যান্টাসি (১৯৭৬)
যৈবতি কন্যার মন (১৯৯১)
শকুন্তলা
সংবাদ কার্টুন
সর্প বিষয়ক গল্প
হরগজ
হাত হদাই